ক্যাচ ড্রপ তো ম্যাচ ড্রপ! আর সেটাই হয়েছে। লিটন দাসের ২টি ক্যাচ ড্রপ ছাড়াও ফিল্ডিং ও বোলিংয়ে ছন্নছাড়া ছিল বাংলাদেশ। এর চড়া মূল্য দিতে হলো। শ্রীলংকার কাছে হেরে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ শুরু করেছে বাংলাদেশ। ১৭২ রানের টার্গেট ছিল। আশালাঙ্কা ও রাজাপাকসের দৃঢ়চেতা ব্যাটিংয়ে পেরে উঠল না টাইগাররা। রাজাপাকসে ৩১ বলে ৫৩ রান করে আউট হন। আর আশালানকা ম্যাচ জয় নিয়ে বের হয়ে আসেন ৮০ রানে অপরাজিত থেকে। ১৮.৫ ওভারে জয় নিশ্চিত করে লঙ্কানরা (১৭২/৫)।
লিটন ১৪.৩ ওভারে আশালাঙ্কার ক্যাচ ফেলেন। তার আগে ১২.৩ ওভারে রাজাপাকসের ক্যাচ ছাড়েন তিনি। সাকিব আল হাসান বিশ্বকাপে শহিদ আফ্রিদির রেকর্ডও ভেঙেছেন। ৪১ উইকেট এখন সাকিবের। কিন্তু নিশানাকা ও ফার্নান্দোর উইকেট নিয়ে জয়ের আশা দেখিয়েছিলেন তিনি। আশালাঙ্কা ও নিশানাকার ৬৯ রানের জুটি ছিল (দ্বিতীয় উইকেট)। আর রাজাপাকসে ও আশালানকা চতুর্থ উইকেটে বড় জুটি গড়ে হারিয়ে দিলেন বাংলাদেশকে। নিশানাকা ২৪ রানে সাকিবের বলে বোল্ড হন।
এর আগে দুবাই থেকে শারজার দুরত্ব ২৮ কিলোমিটার। সকাল থেকেই সমর্থকরা ভিড় করতে থাকেন। কারণ বাংলাদেশের খেলা। খেলা শুরুর আগে মাঠের বাইরে বসে তারা উত্তেজনায় ফুঁসছিল। আর রটে গেছে যে নাসুম আহমেদ ফিরবেন। সাকিব, লিটন আগের দিন বিশ্রামে ছিলেন। তারা দুজনেই স্কোয়াডে ছিলেন। দুঃচিন্তা কেটে যায়। টস শ্রীলংকা জেতে। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে সুপার টুয়েলভে বাংলাদেশের প্রথম ম্যাচ ছিল বাংলাদেশের। জয় পেলে ৫ ম্যাচের প্রথমটিতে যাত্রা সুন্দর হয়। তাসকিন আহমেদ এই ম্যাচে ছিলেন না। তার বদলে বাঁ-হাতি স্পিনার নাসুম আহমেদ দলে প্রবেশ করেছেন।
ওপেনিংয়ে ব্যাটিং করতে আসেন নাইম ও লিটন। মোটেও খারাপ ছিল শুরুটা। বেশ ধীরস্থির শুরু যাকে বলে। উইকেটে মরা ঘাস। বল নেমে নেমে আসছিল। নাইম ও লিটন ব্যাপারটা বুঝতে পেরেছিলেন। যদিও ওপেনিংয়ের যাত্রা থামে দলের ৪০ রানে।
লিটন আউট হন ১৬ বলে ১৬ রান করে। মজার ব্যাপার হচ্ছে তার জার্সি নম্বরও ১৬। সাকিব বেশি দূর যেতে পারেনি। ৭ বলে ১০ রান করে টাইমিং মিসটেক করে বোল্ড হন। নাইম ও মুশফিক তৃতীয় উইকেটে ৭৩ রানের জুটি উপহার দেয়। আর এটাই ছিল গুরুত্বপূর্ণ। নাইম ৫২ বলে ৬২ রান করে আউট হয়ে যান। মুশফিক ইনিংসের শেষ বলে চার মেরে হাফ সেঞ্চুরি পূরণ করেন স্কুপ করে পেছনে চার মেরে। নাইমের চতুর্থ ও মুশফিকের ৬ষ্ঠ ফিফটি ছিল এটা। বাংলাদেশ ১৭১ রানের স্কোর করে নির্ধারিত ২০ ওভারে।
এই উইকেটে এই রান ছোট নয়। আর চ্যালেঞ্জিং যদি বোলাররা লাইন ও লেংথে বল করতে পারে। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে কোনো দলই ফেবারিট নয়। তারপরও নাইম ও মুশফিক সামর্থের পুরোটা দিয়ে ব্যাট করেছে।