মাত্র সাড়ে ৩ বছরে এক ডজন গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডের মালিক বাংলাদেশের ছেলে মাহমুদুল হাসান ফয়সালের। 'দ্য মোস্ট বাস্কেটবল নেক থ্রোস অ্যান্ড ক্যাচেস ইন থার্টি সেকেন্ড' ইভেন্টের মাধ্যমে ১২তম রেকর্ডে মাগুরার ফ্রি স্টাইলার ফুটবলার ফয়সালের নামটি লেখা হলো। এই ইভেন্টে মাত্র ৩০ সেকেন্ডে ২৯ বার ঘাড়ের ওপর বাস্কেট বল ঘুরিয়ে রেকর্ড বুকে জায়গা করে নিয়েছেন তিনি। গত ২৮ জানুয়ারি সর্বশেষ এ রেকর্ড গড়েন ফয়সাল।
ফুটবল ও বাস্কেট বল আর্ম রোলিং ও নেক ক্যাচসহ বিভিন্ন ইভেন্ট মিলে ১২টি বিশ্ব রেকর্ড গড়েছেন ফয়সাল। ২০১৮ সালের শেষ দিকে এক মিনিটে দুই বাহুর বন্ধনে ১৩৪ বার ফুটবল ঘুরিয়ে ফয়সাল প্রথম বারের মতো গিনেস বুকে নাম লেখান তিনি।
গত বছরের ৩ মার্চ ৩০ সেকেন্ডে ৩৬ বার মাথার চারপাশে ফুটবল ঘুরিয়ে ১১তম গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ড গড়েছিলেন ফয়সাল। ৩০ সেকেন্ডে গোটা কপাল জুড়ে টানা ৪৬ বার ফুটবল ঘুরিয়ে দশম রেকর্ডটি গড়েন। শুধু তাই নয়, প্রতি ৩০ সেকেন্ডে দুই বাহুর বন্ধনে ৭৭ বার ফুটবল ঘুরিয়ে পেয়েছিলেন আরও একটি গিনেস ওয়ার্ল্ড স্বীকৃতি। এর আগে ফ্রি স্টাইল ফুটবলে তিনি গড়েছেন ৮টি গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ড।
পরবর্তীতে পর পর ২ বার প্রতি ৩০ সেকেন্ড দুই বাহুর বন্ধনে ৬২ বার ফুটবল ঘুরিয়ে দুটি রেকর্ড গড়েন ফয়সাল। এর আগে প্রতি ৩০ সেকেন্ড দুই বাহুর বন্ধনে যথাক্রমে ৬৮ ও ৬৬ বার ফুটবল ঘুরিয়ে আরও ২টি রেকর্ড গড়েন ফয়সাল।
২০১৯ সালে একটি বাস্কেটবল ১ মিনিটে ৩৪ বার ঘাড় দিয়ে উপরে ছুঁড়ে আবার তা ঘাড় দিয়ে গ্রহণ করায় বিশ্ব রেকর্ডের তালিকায় নাম লেখা হয় তাঁর। এছাড়া একই বছরের শুরুর দিকে ১ মিনিটে দুই হাতের মধ্যে ১৪৪ বার বাস্কেটবল ঘুরিয়ে তিনি বিশ্ব রেকর্ড গড়েন। এছাড়া ২০২০ সালে প্রতি ১ মিনিটে একটি ফুটবল টানা ৬৬ বার ঘাড় দিয়ে উপরে ছুঁড়ে আবার তা ঘাড় দিয়ে গ্রহণ করায় গিনেস কর্তৃপক্ষ রেকর্ডের স্বীকৃতি দিয়েছিলেন।
মাগুরা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের মেকাট্রনিক্স বিভাগের শেষ বর্ষের ছাত্র ২১ বছর বয়সী ফয়সাল। মাগুরা সদর উপজেলার হাজিপুর গ্রামের বাসিন্দা অবসরপ্রাপ্ত সেনা সদস্য সোহেল রানা ও গৃহিণী মনজুয়ারা দম্পতির একমাত্র ছেলে।
ফয়সালের ইচ্ছা আগামীতে আরও নতুন-নতুন রের্কড গড়া। চলতি বছরে অন্তত ২৫ গিনেস ওয়াল্ড রেকর্ড গড়ার লক্ষ্যে কঠোর অনুশীলন করে যাচ্ছেন তিনি। এর পাশাপাশি আন্তর্জাতিক ফ্রি স্টাইলার ফুটবল চ্যাম্পিয়নশিপে অংশ নিয়ে বাংলাদেশের মুখ বিশ্বের দরবারে আরও উঁচুতে তোলার স্বপ্ন দেখছেন তিনি। এ জন্য সরকারের পক্ষ থেকে সহযোগিতা আশা করছেন তিনি।