গ্রুপ ‘এ’ থেকে টি-২০ বিশ্বকাপের সেমি-ফাইনালে কোন দু’টি দল উঠবে তা আজ স্পষ্ট হয়ে যাবে। দিনের প্রথম ম্যাচে আবুধাবিতে মুখোমুখি অস্ট্রেলিয়া-ওয়েস্ট ইন্ডিজ। পরের ম্যাচে শারজায় ইংল্যান্ড খেলবে দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে। পয়েন্ট তালিকায় যা অবস্থান তাতে পাল্লা অনেকটাই ঝুঁকে ইয়ন মরগ্যানদের দিকে। চারটি খেলে সবক’টিতেই তাঁরা জিতেছেন। নেট রান রেট +৩.১৮৩। দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে অস্ট্রেলিয়া। চারটি খেলে যাদের সংগ্রহ ৬ পয়েন্ট। সমসংখ্যক ম্যাচে দক্ষিণ আফ্রিকা সমান পয়েন্ট পেয়েছে। কিন্তু নেট রান রেটে অজিরা (+১.০৩১) এগিয়ে রয়েছে প্রোটিয়া বাহিনীর (+০.৭৪২) থেকে। তাই অ্যারন ফিনচা কিছুটা হলেও সুবিধাজনক অবস্থায় থেকে শুরু করবেন। তার উপর প্রতিপক্ষ ওয়েস্ট ইন্ডিজ একেবারেই ছন্দে নেই। গতবারের চ্যাম্পিয়নরা চারটি খেলে মাত্র একটিতে জিতেছে। কিয়েরন পোলার্ডদের বিশ্বকাপ অভিযান আগেই শেষ হয়ে গিয়েছিল।
ইংল্যান্ডের কাছে হারের ধাক্কা সামলে দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়িয়েছে অস্ট্রেলিয়া। গত ম্যাচে বাংলাদেশকে বড় ব্যবধানে পরাস্ত করে নেট রান রেট অনেকটাই বাড়িয়ে নিয়েছেন ওয়ার্নাররা। এই সাফল্য ধরে রেখেই তাঁরা শেষ চারের টিকিট পাকা করতে বদ্ধপরিকর। অস্ট্রেলিয়ার ব্যাটিংয়ে বড় ভরসা ফিনচ, ওয়ার্নার, ম্যাক্সওয়েল, স্টিভ স্মিথ। দারুণ ছন্দে আছেন স্পিনার অ্যাডাম জাম্পা। গত ম্যাচে একাই নিয়েছিলেন পাঁচ উইকেট। এছাড়া পেস ত্রয়ী মিচেল স্টার্ক, জস হ্যাজলউড ও প্যাট কামিন্স গতির বিস্ফোরণ ঘটানোর জন্য প্রস্তুত। গ্রুপ পর্বে চারটি ম্যাচ জিতে সেমি-ফাইনালের টিকিট কার্যত নিশ্চিত করে ফেলেছে ইংল্যান্ড। পাঁচে পাঁচ করার লক্ষ্যে শনিবার দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে নামছেন ইয়ন মরগ্যানরা। শেষ চারের টিকিট পাকা করতে মরিয়া দক্ষিণ আফ্রিকাও। কাজটা ভীষণ জেনেও বাভুমারা হাল ছাড়তে রাজি নন। বরং অবিশ্বাস্য একটা পারফরম্যান্স মেলে ধরার উপর তাঁরা জোর দিচ্ছেন।
ইংল্যান্ডের ব্যাটিংয়ে আছেন জেসন রয়, জস বাটলার, দাবিদ মালান, জনি বেয়ারস্টোর মতো তারকা। পাশাপাশি মিডল অর্ডারে মঈন আলি ও লিয়াম লিভিংস্টোন বড় ভরসা। মরুদেশের পিচে দারুণভাবে মানিয়ে নিয়েছেন ইংল্যান্ডের বোলাররাও। ক্রিস ওকস, ক্রিস জর্ডনরা শুধু গতিকেই অস্ত্র করছেন না, তাঁদের বোলিং বৈচিত্র্য নজর কেড়েছে। নিয়মিত উইকেট পাচ্ছেন স্পিনার আদিল রশিদ। তবে চোটের জেরে টাইমাল মিলসের ছিটকে যাওয়াটা নিঃসন্দেহে বড় ধাক্কা।
দক্ষিণ আফ্রিকার সাফল্য অনেকটাই নির্ভর করবে কুইন্টন ডি’কক, বাভুমা, মার্করামদের সাফল্যের উপর। তাঁরা বড় রান না পেলে সমস্যায় পড়বে প্রোটিয়া বাহিনী। পাশাপাশি ডেভিড মিলারও ম্যাচ উইনার। একাই তিনি খেলা ঘুরিয়ে দিতে পারেন। নিয়মিত উইকেট পাচ্ছেন রাবাডা, নর্টজেরাও। উপভোগ্য লড়াইয়ের আশায় ক্রিকেটপ্রেমীরা। a