হেরেই গেল বাংলাদেশ। তীরে এসে তরী ডুবেছে। শেষ বলে জয়ের জন্য দরকার ছিল চার রান। কিন্তু সেই বলে কোন রানই নিতে পারেনি বাংলাদেশ। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ৩ রানে হেরে টি-২০ বিশ্বকাপের সেমি ফাইনালের স্বপ্ন ধুলিস্যাৎ বাংলাদেশের।
জয়ের জন্য খুব বেশি রান দরকার ছিল না। ১২০ বলে দরকার ১৪২ রান। মাত্র ২২ রান বেশি। কিন্তু ২২ রান নয় বাংলাদেশ ডুবল মাত্র ৩ রানে। শেষ বলে দরকার ছিল মাত্র ৪ রান। ব্যাটসম্যান অধিনায়ক মাহমুদুল্লাহ। কিন্তু কি হলো!
রচিত হলো ব্যর্থতার উপাখ্যান। শেষ ওভারে জয়ের জন্য লাগে ১৩ রান। কিন্তু কষ্টেসৃস্টে ৯ রান করতে পারলেও জয়ের জন্য অধরা রইলো ৪ টি রান। ওয়েস্ট ইন্ডিজ জিতে গেল ৩ রানে। ফলে, কাগজে কলমে বাংলাদেশের আশা থাকলেও আসলে বিদায় ঘন্টা বেজে গেছে। অনেক সমীকরণ আর যদি, কিন্তুর পাল্লা পেরিয়ে যে সেমিতে যাওয়া হবে না সেটা সহজেই অনুমেয়।
ওপেনিংয়ে ব্যর্থতা কাটাতে ওপেনিংয়ে আনা হয়েছিল সাকিব আল হাসানকে। তবে ব্যর্থ তিনিও। ম্যাচের পঞ্চম ওভারে আউট হয়ে ফেরেন সাজঘরে। পরে একই পথ ধরেন অপর ওপেনার নাইমও। দলে সুযোগ পাওয়া সৌম্য যথারীতি ব্যর্থ। মুশফিকও ফেরেন দ্রুত। এরপর লিটন এবং মাহমুদুল্লাহ মিলে প্রতিরোধ করেন। নিয়ে যেতে থাকেন জয়ের দিকে। কিন্তু মন্থর রান রেটে। এবং এটাই কাল হয়ে দাঁড়ায় বাংলোদেশের জন্য। লিটন ৪৩ বলে ৪৪ রান করে যখন আউট হন তখনো জয়ের বন্দর অনেক দূরে। তবে শেষ পর্যন্ত আর জয়ের বন্দরে নোঙর করা হয়নি বাংলাদেশের।
টসে জিতে বোলিং নিয়ে বাংলাদেশি বোলাররা প্রথম ১৬ ওভার বেশ আঁটসাঁট বোলিং করলেও শেষের দিকে ওয়েস্ট ইন্ডিজের ব্যাটসম্যানরা চড়াও হয়ে খেলেন। নিকোলাস পুরান ২২ বলে ৪০ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলেন। জেসন হোল্ডার ৫ বলে ১৫ রান করেন ২ টি ৬ এর মারের সাহায্যে।
বাংলাদেশের পক্ষে ২ টি করে উইকেট নেন মেহেদী হাসান, মুস্তাফিজ এবং শরীফুল। তবে, সবচেয়ে মিতব্যায়ী বোলার ছিলেন তাসকিন আহমেদ। ৪ ওভারে মাত্র ১৭ রান দিয়ে উইকেট শূন্য থাকেন তিনি। সাকিব আল হাসান ৪ ওভারে ২৮ রান দিয়ে তাসকিনের পদাঙ্ক অনুসরণ করেন। ২ উইকেট পেলেও মুস্তাফিজ বেশ খরুচে ছিলেন। তার নির্ধারিত ৪ ওভারে ৪৩ রান দেন।
ওয়েস্ট ইন্ডিজের তারকার ব্যাটসমনদের হাত খুলে খেলতে দেননি টাইগার বোলাররা। গেইল, পোলার্ড, হেটমায়ার, রাসেল কেউই তেমন সুবিধা করতে পারেননি। তবে রোস্টন চেজ ৩৯ রানের একটি মন্থর ইনিংস খেলে শরিফুলের বলে বোল্ড হয়ে ফেরেন।