উড়ন্ত সূচনা করলেও পুঁজিটা খুব বেশি বড় হয়নি টাইগারদের। জয়ের জন্য নেদাররল্যান্ডসকে ১৪৫ রানের টার্গেট দিয়েছে সাকিব বাহিনী। জয়ের জন্য পুঁজি কম থাকলেও প্রতিপক্ষকে চাপে রাখতে বোলিংয়ে শুরুটা যেমন হওয়া দরকার ছিল টাইগারদের জন্য, পেসার তাসকিন আহমেদ ঠিক তেমনই এক সূচনা এনে দিয়েছেন বাংলাদেশকে। বোলিংয়ে নেমে ইনিংসের প্রথম দুই বলেই তুলে নিয়েছেন নেদারল্যান্ডের দুই উইকেট।
সোমবার হোবার্টের বেলেরিভ ওভালে বাংলাদেশের করা ১৪৪ রানের জবাবে ব্যাট করতে নামে নেদাররল্যান্ডস। ইনিংসের প্রথম বলেই তাসকিন তুলে নেন বিক্রমজিৎ সিংকে। বলটা করিডোর অফ আন্সার্টেইন্টিতে করেছিলেন তিনি। তাতেই খোঁচা মেরে দিয়েছেন ডাচ ওপেনার। বলটা চলে যায় দুই স্লিপের প্রথমজনের কাছে। সামনে ঝুঁকে দারুণ এক ক্যাচ নেন ইয়াসির আলী।
এর পরের বলেই বাস ডি লিডকেও উইকেটের পিছনে নুরুল হাসান সোহানের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরান দেশসেরা এই পেসার।
এর আগে, ৪৩ রানের ওপেনিং জুটির শুভ সূচনা করেছিল বাংলাদেশ। এর পর ওপেনার সৌম্য আউট হলে বাংলাদেশ দলের ছন্দপতন হয়।
২০ রান করতেই ৪ উইকেট হাওয়া। একে একে শান্ত, লিটন ও সাকিব ফিরে গেলে দল বিপদে পড়ে। সাকিবের আউটের পর হাল ধরতে নামেন আফিফ হোসেন ও ইয়াসির আলি রাব্বি।
এর পর বৃষ্টিতে খেলা বন্ধ ছিল ৫ মিনিটের মতো। এর পর আবারও খেলা শুরু হলেই বোল্ড হয়ে ফিরেছেন ইয়াসির।১১তম ওভারের শেষ বলেই দুর্দান্ত এক ইয়র্কারে ইয়াসিরের উইকেট ভেঙে দেন পল ফন মেকেরেন।
এর পর থেকে দলকে একাই টেনে তুলেছেন অলরাউন্ডার আফিফ। ১৬তম ওভারে সুইপ করে শারিজ আহমাদকে বাউন্ডারি হাঁকান আফিফ। পরে উইকেট ছেড়ে বেরিয়ে এসে ডিপ মিডউইকেট দিয়ে ছক্কা উড়িয়ে বাংলাদেশের রান ১০০ পার করে দেন তিনি।
১৫ ওভার শেষে বাংলাদেশের সংগ্রহ দাঁড়ায় ৫ উইকেটে ১০৬ রান। পরে দুই অলরাউন্ডার আফিফ ও মোসাদ্দেকের ইনিংসে ভর করে চ্যালেঞ্জিং টার্গেট ছুড়ে দিতে পেরেছে বাংলাদেশ।নির্ধারিত ২০ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে ১৪৪ রান সংগ্রহ করে টাইগাররা।