পাটের স্যানিটারি প্যাড তৈরির প্রযুক্তি উদ্ভাবনে বাংলাদেশি বিজ্ঞানীর সাফল্য

নিজস্ব প্রতিবেদক

নভেম্বর ২৪, ২০২১, ০৪:২০ এএম

পাটের স্যানিটারি প্যাড তৈরির প্রযুক্তি উদ্ভাবনে বাংলাদেশি বিজ্ঞানীর সাফল্য

পাটের সেলুলোজ থেকে পরিবেশ-বান্ধব স্যানিটারি প্যাড তৈরির প্রযুক্তি উদ্ভাবনের জন্য আন্তর্জাতিক পুরষ্কার পেয়েছেন বাংলাদেশি বিজ্ঞানী ফারহানা সুলতানা।

মেয়েদের টেকসই মাসিক স্বাস্থ্যের উন্নয়নের জন্য ভূমিকা রাখায় ইনোভেশন পিচ প্রতিযোগিতার ৪র্থ আসরে সেরা পুরষ্কারটি নিজের দখলে নেন ফারহানা।এবারের প্রতিযোগিতার মূল প্রতিপাদ্য ছিল-মহামারি ও জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবেলায় বিশ্ব সম্প্রদায়ের প্রস্তুতি।

মঙ্গলবার (২৩ নভেম্বর) আইসিডিডিআরবি ‘র অফিসিয়াল ফেসবুক পোস্টে দেওয়া এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়।

আন্তর্জাতিক উদরাময় গবেষণা কেন্দ্রে, বাংলাদেশ (আইসিডিডিআরবি) এর সহকারি বিজ্ঞানী পদে কর্মরত ফারহানা সুলতানা ও বাংলাদেশের আরেক বিজ্ঞানী ড. মুবারক আহমেদ খান যৌথভাবে এই স্যানিটারি প্যাড তৈরির প্রযুক্তি উদ্ভাবন করেন। ড. মুবারক খান বর্তমানে বাংলাদেশ জুট মিলস করপোরেশনে (বিজেএমসি) বৈজ্ঞানিক উপদেষ্টা হিসেবে কর্মরত আছেন।

আইসিডিডিআরবি’র ওই বিবৃতিতে বলা হয়, বাংলাদেশের নারী ও মেয়েদের স্বাস্থ্যসম্মত জীবনযাপন ও মাসিক স্বাস্থ্যের জন্য বিকল্প সমাধান হিসেবে একে দেখা হচ্ছে। বর্তমানে বাংলাদেশে পাট থেকে প্যাড তৈরির কোনো প্রযুক্তি নেই। পাট থেকে প্যাড তৈরির প্রযুক্তি বাজারজাতকরণের জন্য একটি বড় বাধা বলেও উল্লেখ করেছে সংস্থাটি।

খাবার স্যালাইন থেকে শুরু করে স্বাস্থ্যসেবার নানা উদ্ভাবনের জন্য বিশ্বজুড়ে পরিচিতি রয়েছে আইসিডিডিআরবি’র। এবার এই প্রতিষ্ঠানটির অর্জনের খাতায় আরও একটি স্বীকৃতি যোগ করলেন বাংলাদেশি বিজ্ঞানী ফারহানা সুলতানা।

শুধু তাই নয়, পুরষ্কার জেতার স্বীকৃতিস্বরূপ ফারহানা সুলতানাকে পাঁচ হাজার মার্কিন ডলার সম্মামনা প্রদান করে আয়োজক সংগঠন আমেরিকান সোসাইটি ফর ট্রপিক্যাল মেডিসিন অ্যান্ড হাইজিন (এএসটিএমএইচ)। পাশপাশি জাহাঙ্গিরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক এই শিক্ষার্থী ২০২২ সালে অনুষ্ঠেয় প্রতিযোগিতার পঞ্চম আসরের বিচারক হিসেবে মনোনীত হয়েছেন।

পুরষ্কারের অর্থ দিয়ে ফারহানা সুলতানা পরিবেশ-বান্ধব স্যানিটারি প্যাডের পরীক্ষামূলক উৎপাদনের প্রকল্প পরিচালনা করতে চান। বাণিজ্যিকভাবে পাটের তৈরি স্যানিটারি প্যাড উৎপাদনের আগে এর কার্যকারিতা ও বর্জ্য ব্যবস্থাপনার বিশ্লেষণের পাশাপাশি গঠনগত দিকও মূল্যায়ন করছেন তিনি।

 

Link copied!