চলতি বিশ্বকাপে কিলার হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে ফরাসি স্ট্রাইকার কিলিয়ান এমবাপ্পে। তাঁর বুলেট গতির জোড়া গোল আর অ্যাসিস্টে অলিভিয়া জিরুদের চিরচেনা শক্তিতে পোল্যান্ডকে গুঁড়িয়ে দিয়ে শেষ ষোলোর পর্ব শেষ করে ফ্রান্স পা রাখলো শেষ আটে। এর সাথে নকআউট পর্বের প্রথম ধাপে ফ্রান্সের এই দুই গোলদাতাই গড়েছেন দারুণ রেকর্ড। ব্রাজিল কিংবদন্তী পেলেকেও তিনি এ ম্যাচে ছাড়িয়ে গেলেন।
দোহার আল থুমামা স্টেডিয়ামে রোববার (৪ ডিসেম্বর) পোল্যান্ডের বিপক্ষে শেষ ষোলোর ম্যাচে ৩-১ গোলে জিতে বিশ্বকাপের কোয়ার্টার-ফাইনালে পৌঁছলো ডিফেন্ডিং বিশ্বচ্যাম্পিয়নরা।
প্রথমার্ধে জিরুদের গোলে এগিয়ে যায় দল। দ্বিতীয়ার্ধে দুই গোল করেন এমবাপে। পুরো ম্যাচে নিষ্প্রভ পোল্যান্ড দলের হয়ে শেষে অতিরিক্ত সময়ে পেনাল্টি থেকে পোল্যান্ডের হারের ব্যবধান কমানো গোলটি করেন লেভানদোভস্কি।
শুরু থেকে বল দখলে এগিয়ে থাকা ফ্রান্স চতুর্থ মিনিটে প্রথম সুযোগ পায়। আঁতোয়া গ্রিজমানের কর্নারে রাফায়েল ভারানের হেড লক্ষ্যে থাকেনি। ১৩ মিনিটে বক্সের বাইরে থেকে জোরালো নিচু শটে চেষ্টা করেন অহেলিয়া চুয়ামেনি, ঝাঁপিয়ে কর্নারের বিনিময়ে রক্ষা করেন গোলকিপার স্ট্যাসনি। চার মিনিট পর উসমান দেম্বেলের শট সহজেই আটকে দেন তিনি।
১৯৮৬ সালের পর প্রথমবার বিশ্বকাপের শেষ ষোলোয় উঠে পোল্যান্ড নিষ্প্রভ হয়ে নিজেদের ঘর সামলাতেই ব্যস্ত থাকে। বল নিয়ে ফ্রান্সের বক্সেই যেতে পারছিল না তারা। ২১তম মিনিটে প্রায় ৩০ গজ দূর থেকে রবের্ত লেভানদোভস্কির বাঁ পায়ের শট পোস্টের বাইরে দিয়ে যায়।
২৯তম মিনিটে বক্সে ঢুকে ডান দিক থেকে দেম্বেল পাস দেন দূরের পোস্টে, ছুটে গিয়ে স্লাইডে ফাঁকা জালে বল পাঠাতে পারেননি জিরুদ। যদিও অফসাইডের পতাকা তোলেন লাইন্সম্যান। ৩৬তম মিনিটে দুরূহ কোণ থেকে কিলিয়ান এমবাপের শট ঠেকিয়ে দেন স্ট্যাসনি। খেলার ধারার বিপরীতে ৩৮তম মিনিটে গোল প্রায় পেয়েই যাচ্ছিল পোল্যান্ড।
সতীর্থের কাটব্যাকে পেনাল্টি স্পটের কাছ থেকে পিওতর জেলিনস্কির শট পা দিয়ে ফেরান লরিস। ফিরতি বলে জেলিনস্কির আরেকটি প্রচেষ্টা ঠেকান দায়দ উপেমেকানো। এরপর ইয়াকুব কামিনিস্কির শট গোললাইন থেকে বিপদমুক্ত করেন ভারানে। ৪৪তম মিনিটে জিরুদের রেকর্ড গড়া গোলে এগিয়ে যায় ফ্রান্স। এমবাপের পাস ডি-বক্সে পেয়ে বাঁ পায়ের শটে দূরের পোস্ট দিয়ে ঠিকানা খুঁজে নেন এসি মিলান স্ট্রাইকার।
ফ্রান্সের সর্বোচ্চ গোলদাতার রেকর্ডে থিয়েরি অঁরিকে ছাড়িয়ে এককভাবে চূড়ায় বসলেন জিরুদ। তার মোট গোল হলো ৫২টি। এর মধ্যে তিনটি এবারের বিশ্বকাপে।