রুশ হামলার দ্বিতীয় দিনে রাজধানী কিয়েভে আরও বিস্ফোরণ

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

ফেব্রুয়ারি ২৫, ২০২২, ০৫:১৫ পিএম

রুশ হামলার দ্বিতীয় দিনে রাজধানী কিয়েভে আরও বিস্ফোরণ

মার্কিন সেক্রেটারি অব স্টেট এ্যানথনি ব্লিনকেন বলেছেন, ঘটনা দেখে মনে হচ্ছে ইউক্রেনের বর্তমান সরকারকে উৎখাত করাও রাশিয়ার অন্যতম লক্ষ্য। সম্প্রতি রাশিয়ার বাধা সত্ত্বেও ইউক্রেন ন্যাটোর সদস্য হওয়ার তোড়জোর শুরুর পরই হামলার হুমকি দিচ্ছিলো মস্কো। ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট  ভ্লাদিমির জেলেনস্কি সম্প্রতি ঘোষণা করেন, ন্যাটোর সদস্য হওয়ার বিকল্প নেই তাদের সামনে। যদিও ইউক্রেনে রুশ হামলা ‍শুরু হওয়ার পর ন্যাটো জানিয়েছে, যেহেতু ইউক্রেন এখনো ন্যাটোর সদস্য নয়, তাই দেশটির কোন উপকারে আসতে পারছে না সংস্থাটি। যদিও রাশিয়াকে চাপে রাখতে নানা ধরণের অবরোধ আরোপ অব্যাহত রেখেছে পশ্চিমারা।

প্রথম দিনে ইউক্রেনের যেসব টার্গেটে রাশিয়া হামলা চালিয়েছে তাতে তারা বেশ সফল হয়েছে বলে দাবি করেছে মস্কো। মস্কোর দাবির মধ্যে ইউক্রেনের একটি বিমানবন্দর ও চেরনোবিলের একটি পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র দখলও অন্যতম।    

শুক্রবার খুব ভোরে রাজধানী কিয়েভকে টার্গেট করে দ্বিতীয় দিনের মত হামলা শুরু করেছে মস্কো। স্থানীয়রা জানিয়েছেন, কিয়েভে স্থানীয় সময় শুক্রবার ভোরের দিকে দুটি বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে। ইউক্রেনের সংবাদ সংস্থা ইন্টারফ্যাক্সের বরাত দিয়ে রয়টার্স এ খবর জানিয়েছে।

এর আগে ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভ থেকে ১৫ মাইল দূরে অবস্থিত আন্তোনোভ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর দখলের দাবি করে রাশিয়ার বিমানবাহিনীর সদস্যরা। বৃহস্পতিবার মার্কিন গণমাধ্যম সিএনএনের এক লাইভ প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়। তবে রাশিয়ার এই দাবির জবাবে ইউক্রেন সরকার এখনও কোনো প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেনি।

আরও পড়তে পারেন: নাৎসি জার্মানিরা যা করেছিলো এখন তাই হচ্ছে

ইউক্রেনের কর্মকর্তারা বলছেন, বৃহস্পতিবার দেশটির ব্রোভারি শহরের একটি সেনাঘাঁটিতে হামলার সময়ও একই ধরনের শব্দ শোনা গিয়েছিল। ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভের কাছেই ব্রোভারি শহর। রাশিয়া ওই শহরে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায়। এতে ছয়জন নিহত হয়। ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেছেন, রুশ হামলায় তার দেশের অন্তত ১৩৭ জন সেনা নিহত হয়েছেন, আহত হয়েছেন ৩১৬ জন।

রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ইগর কোনাশেনকভ বলেছেন, ইউক্রেনে হামলার প্রথম দিনটির জন্য যে লক্ষ্য নির্ধারণ করা ছিল সেটি অর্জন করেছে রাশিয়া। প্রথম দিন তারা সমতলে থাকা ইউক্রেনের ৮৩টি লক্ষ্যবস্তু ধ্বংস করেছে। হামলার প্রথম দিনই ইউক্রেনের চেরনোবিলে পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র দখলে নিয়েছে রুশ বাহিনী। এদিন বেলারুশ সীমান্ত থেকে চেরনোবিলের নিষিদ্ধ এলাকায় জড়ো হওয়ার পর ইউক্রেনের আরও ভেতরে ঢুকে পড়ে রুশ সেনারা।

আরও পড়তে পারেন: ইউক্রেনের বিমানবন্দর দখলের দাবি রাশিয়ার

Link copied!