মার্চ ২৩, ২০২২, ০৯:১৪ পিএম
দক্ষিণ চীনে বিধ্বস্ত হওয়া বোয়িং ৭৩৭ বিমান বিমানের কোনো যাত্রীকে জীবিত অবস্থায় খুঁজে পাওয়া যায়নি। তবে বিধ্বস্ত বিমানের ককপিট ভয়েস রেকর্ডারসহ (সিভিআর) মানুষের কিছু টিস্যু পাওয়া গেছে। বিমানের সিভিআর উদ্ধার হওয়ায় বিমানের দুর্ঘটনার কারণ জানা যাবে বলে মনে করছেন দেশটির সিভিল অ্যাভিয়েশন কর্তপক্ষ। বুধবার সংবাদ মাধ্যম গ্লোবাল টাইমসের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা গেছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, স্থানীয় সময় বুধবার ফ্ল্যাশলাইট ব্যবহার করে শত শত অগ্নিনির্বাপক কর্মী, পুলিশ অফিসার এবং আধাসামরিক বাহিনী জীবিতদের উদ্ধারের চেষ্টায় পাহাড়ে তল্লাশি চালায়। এসময় তারা বিমানের ধ্বংসাবশেষ যাত্রীদের পরিচয়পত্র, পার্স এবং সেলফোনের মতো ব্যক্তিগত জিনিসপত্র খুঁজে পেয়েছেন। খুঁজে পাওয়া ককপিট ভয়েস রেকোর্ডারটি পরীক্ষার জন্য বেইজিং পাঠানো হয়েছে।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, চীনের সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়েছে, চায়না ইস্টার্ন এয়ারলাইন্সের বিমান, ফ্লাইট এমউ৫৭৩৫, সোমবার গুয়াংজি অঞ্চলের টেং কাউন্টিতে ২৯ হাজার ফুট উঁচু থেকে ভূপাতিত হয়ে প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলে জ্বলন্ত ধ্বংসাবশেষ ছড়িয়ে পড়েছিল।
চীনের এভিয়েশন সেফটি ডিরেক্টর ঝু দুর্ঘটনাস্থলের কাছে উঝো শহরে সংবাদ সম্মেলনে বলেন, জরুরী কর্মীরা বিমানটির ব্ল্যাক বক্সগুলি সনাক্ত করার দিকেও মনোনিবেশ করেছিলেন। ব্ল্যাক বক্সগুলি ফ্লাইট ডেটা এবং ভয়েস রেকর্ডার যা দুর্ঘটনার কারণ নির্ধারণের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। ককপিট ভয়েস রেকোর্ডারটি পাওয়ার পর তা পরীক্ষার জন্য বেইজিং পাঠানো হয়েছে
ঝু আরো বলেন, কর্মকর্তারা এখন পর্যন্ত খুব কম তথ্য প্রকাশ করেছেন। এই দুর্ঘটনায় বিমানটি মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল যার তদন্ত করা খুব কঠিন। বর্তমানে উপলব্ধ তথ্যের সাথে দুর্ঘটনার কারণ সম্পর্কে স্পষ্ট রায় দেওয়া এখনও অসম্ভব। তবে ককপিট ভয়েস রেকোর্ডারটি পাওয়ায় খুব শিগগিরিই দুর্ঘটনার কারণ জানা যাবে বলে তারা মনে করেন।
প্রসঙ্গত, গত সোমবার দুপুর ২টা ১৭ মিনিটের দিকে বিমানটি প্রায় ২৯,০০০ ফুট উপরে উঠেছিল। কিন্তু কয়েক মিনিট পরে এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোলাররা টের পান বিমানটি হঠাৎ উচ্চতা হারিয়েছে। নিয়ন্ত্রকরা জরুরিভাবে বিমানের ক্রুদের ডেকেছিলেন কিন্তু বেশ কয়েকবার চেষ্টা করেও কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি। দুপুর ২টা ২৩ মিনিট নাগাদ প্লেনের রাডার সিগন্যালটি অদৃশ্য হয়ে যায় এবং বিমানটি বিধ্বস্ত হয়।