সারাদেশের নজর নাসিক মেয়র নির্বাচনের দিকে

দ্য রিপোর্ট ডেস্ক

জানুয়ারি ১৬, ২০২২, ০১:৪৭ এএম

সারাদেশের নজর নাসিক মেয়র নির্বাচনের দিকে

আর কয়েক ঘন্টা পরই শুরু হবে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন (নাসিক) নির্বাচনের ভোটগ্রহণ। আলোচিত এই নগরে ভোটের দিকে নজর থাকবে গোটা দেশের। নির্বাচনকে কেন্দ্র করে এরমধ্যেই উৎসবমুখর হয়ে উঠেছে এই নগরী। শেষ বেলার এই আনন্দ আয়োজনে শামিল নগরবাসী। এরইমধ্যে নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ঢাকার পাশের এই সিটিতে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। গোয়েন্দা নজরদারিতে আনা হয়েছে গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্রগুলো।

এই সিটিতে ২৭টি সাধারণ ওয়ার্ডে এবং নয়টি সংরক্ষিত ওয়ার্ডে মোট ১৮৭টি ভোট কেন্দ্রে এই ভোট হতে যাচ্ছে। মোট ভোটার সংখ্যা পাঁচ লাখ ১৭ হাজার ৩৫৭ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার দুই লাখ ৫৯ হাজার ৮৩৪ জন এবং নারী ভোটার দুই লাখ ৫৭ হাজার ৫১৯ জন। আর তৃতীয় লিঙ্গের ভোটার আছেন চার জন।

প্রথমবারের মতো নাসিকের শতভাগ ভোটকেন্দ্রে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে ভোট নেওয়া হবে। 

নির্বাচনে মেয়র পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন সাত জন প্রার্থী। তবে সবাইকে ছাপিয়ে শুরু থেকেই আলোচনায় দুইবারের মেয়র ও আওয়ামী লীগের প্রার্থী ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভী এবং বিএনপি থেকে অব্যাহতি পাওয়া স্বতন্ত্র প্রার্থী তৈমুর আলম খন্দকার। ভোটার ও নির্বাচন বিশ্লেষকরা এই দুই প্রার্থীর জয় নিয়েই আশাবাদী। অর্থাৎ জিতে যেতে পারেন যে কেউই।

স্থানীয়রা বলছেন, নগরের মেয়র যেই হোক না কেন, তারা নগরের উন্নয়ন এবং জনগণের পাশে থাকার যে প্রত্যাশা ব্যক্ত করেছেন সেটি রাখবেন। বরাবরের মতো নগর অভিভাবকের কাছে বাড়তি প্রত্যাশা থাকবে নারায়ণগঞ্জের বাসিন্দাদের।

এবার জিতলে সিটি মেয়র হিসেবে হ্যাটট্রিক করবেন দলীয় প্রতীকে আওয়ামী লীগের নৌকা নিয়ে নির্বাচন করা আইভী। ২০১১ সালে শামীম ওসমানকে এক লাখেরও বেশি ভোটে হারিয়ে দেশের প্রথম নারী মেয়র হয়েছিলেন তিনি। 

নির্বাচনে আরেক হেভিওয়েট প্রার্থী অ্যাডভোকেট তৈমুর আলম খন্দকার। এবার প্রথমবারের মতো নারায়ণগঞ্জের মেয়র হওয়ার আশায় দলীয় নির্দেশ অমান্য করেই হাতি প্রতীক নিয়ে ভোটের মাঠে নেমেছেন। এর আগে ২০১১ সালে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছিলেন। পরে দলের নির্দেশে ভোট থেকে সরে দাঁড়ান। ওইসময় নির্বাচনে নেমে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টার পদ হারান তৈমুর।

মেয়র পদে এ দুইজন ছাড়াও প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন আরও পাঁচজন। মেয়র পদে বাকি পাঁচ প্রার্থী হলেন— খেলাফত মজলিসের এ বি এম সিরাজুল মামুন, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মাওলানা মো. মাছুম বিল্লাহ, বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের মো. জসীম উদ্দিন, বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির মো. রাশেদ ফেরদৌস, কামরুল ইসলাম স্বতন্ত্র।

সংরক্ষিত নারী ওয়ার্ডে ৩৪ জন এবং সাধারণ ওয়ার্ড কাউন্সিলর পদে ১৪৮ জন প্রার্থী নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। ভোটাররা দুইবারের মেয়রকে আবারও চান নাকি নতুন কোনো নগরপিতা বেছে নেবেন তাই এখন দেখার অপেক্ষা।

Link copied!