পুরো ম্যাচেই দারুণ খেলেছে কানাডা। অনেক চেষ্টা করেছেন ডেভিস-ডেভিডরা। তবুও কোর্তোয়াকে এড়িয়ে বেলজিয়ামের দুর্গে প্রবেশের সুযোগ হয়নি তাদের। পুরো খেলাতেই বেলজিয়ামের থেকে বল দখল বা আক্রমণে অনেক এগিয়ে থাকলেও নিখুঁত ফিনিশিংয়ের অভাবে পরাজয় বরণ করতে হয় আতিবা হাচিনসনের দলকে।
কাতারের আহমেদ বিন আলী স্টেডিয়ামে বুধবার (২৩ নভেম্বর) দিবাগত রাতের ম্যাচে কানাডার বিপক্ষে বেলজিয়াম জয় পেয়েছে ১-০ গোলে।
ম্যাচের ১১ মিনিটে কানাডার এক খেলোয়াড়ের করা শট গিয়ে লাগে ডি-বক্সের ভিতরে বেলজিয়ামের উইঙ্গার কারেসকোর হাতে। সেখান থেকে ভিএআরের সাহায্যে পেনাল্টি পায় কানাডা। তবে ডেভিসের নেয়া পেনাল্টি ঝাঁপ দিয়ে রুখে দেন কোর্তোয়া। এরপর কানাডা অনেকবার আক্রমণ চালালেও প্রতিবারই দেয়াল হয়ে দাঁড়ান বেলজিয়ামের গোলরক্ষক।
প্রথমার্ধে যখন ভাবা হচ্ছিল গোলশূন্য ড্র হয়ে বিরতিতে যাবে দুই দল, ঠিক তখনই বিরতির এক মিনিট আগে গোল করেন মিচি বাতশুয়াই। টবি অ্যাল্ডারওয়েরল্ডের বল ডি-বক্সের ভিতর পেয়ে কানাডার জালে বল জড়ান মিচি।
এরপর দ্বিতীয় হাফেও একের পর এক আক্রমণ করে যায় কানাডা। তবে ফলাফল সেই এক, ফিনিশিংয়ের অভাব। এমনই একেই পর এক আক্রমণ করেছে কানাডার খেলোয়াড়রা, আর বেলজিয়ামের ডিফেন্ডাররাও তাদের সেরাটা দিয়ে কানাডার খেলোয়াড়দের গোল বঞ্চিত করেছে। শেষ পর্যন্ত অতিরিক্ত ৫ মিনিট দিলেও, বল মাঝ মাঠেই ঘোরাঘুরি করেছে। আর জয় নিয়েই মাঠ ছেড়েছে বেলজিয়াম।
এদিকে কোর্তোয়া বিশ্বকাপে পেনাল্টি সেভ করে এক রেকর্ডে ভাগ বসিয়েছেন। থিবো কোর্তোয়াই প্রথম বেলজিয়ান গোলরক্ষক, যিনি ১৯৬৬ সালের পর কোন বিশ্বকাপে পেনাল্টি সেভ করেছেন।
গত বিশ্বকাপের তৃতীয় স্থান অর্জন করা দল বেলজিয়াম। এবারের কাতার বিশ্বকাপেও হট ফেভারিট তারা। অন্যদিকে বিশ্বকাপের মঞ্চে প্রায় ৩৬ বছর পর জায়গা পেয়েছে কানাডা।