মে ১১, ২০২৩, ০৭:১২ পিএম
ইউক্রেনের যুদ্ধ গত বছর সংঘাত বা প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে অভ্যন্তরীণভাবে বাস্তুচ্যুত হওয়া বিশ্বব্যাপী মোট মানুষের সংখ্যা রেকর্ড পরিমাণ ৭১দশমিক ১ মিলিয়নে নিয়ে গেছে।
বৃহস্পতিবার নরওয়েজিয়ান রিফিউজি কাউন্সিলের অভ্যন্তরীণ স্থানচ্যুতি পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
২০২২ সালের শেষ নাগাদ রুশ আগ্রাসনের কারণে ৫দশমিক ৯ মিলিয়ন মানুষ ইউক্রেনের অভ্যন্তরে চলে যেতে বাধ্য হয়েছিল। সংঘাত এবং সহিংসতার কারণে অভ্যন্তরীণভাবে বাস্তুচ্যুত বিশ্বব্যাপী মোট মানুষের সংখ্যা ৬২ মিলিয়নেরও বেশি হয়েছিল, যা ২০২১ সালের তুলনায় ১৭ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। সিরিয়ায় এক দশকেরও বেশি সময় ধরে চলা গৃহযুদ্ধের পর সংঘাতের কারণে ৬৮ লাখ মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে।
বন্যা ও দুর্ভিক্ষের মতো দুর্যোগের কারণে বছরের শেষে তাদের দেশের অভ্যন্তরে বাস্তুচ্যুত মানুষের সংখ্যা ৮দশমিক ৭ মিলিয়নে পৌঁছেছে, যা ২০২১ সালের তুলনায় ৪৫ শতাংশ বেশি।
২০২১ সালের তুলনায় বিশ্বব্যাপী অভ্যন্তরীণভাবে বাস্তুচ্যুত মানুষের সংখ্যা মোট ৭১দশমিক ১ মিলিয়ন হয়ে ২০ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে।
অভ্যন্তরীণ বাস্তুচ্যুতি বলতে এমন মানুষদের বোঝায় যারা তাদের নিজস্ব সীমানার অভ্যন্তরে চলে যেতে বাধ্য হয় এবং অভ্যন্তরীণ স্থানচ্যুতি পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের প্রতিবেদনে বিভিন্ন দেশে চলে যাওয়া ব্যক্তিদের বিবেচনায় নেওয়া হয়নি।
ইউক্রেন, সিরিয়া, ইথিওপিয়া এবং অন্যান্য জায়গায় সংঘাতের এক বছর পরেও ২০২৩ সালে কোনও স্বস্তি নেই। জাতিসংঘের অভিবাসন সংস্থা এ সপ্তাহে জানিয়েছে, সুদানে সেনাবাহিনী ও প্রতিদ্বন্দ্বী আধা-সামরিক গোষ্ঠীর মধ্যে সংঘাতের কারণে কয়েক সপ্তাহের মধ্যে সাত লাখ মানুষ অভ্যন্তরীণভাবে বাস্তুচ্যুত হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ইন্টারনাল ডিসপ্লেসমেন্ট মনিটরিং সেন্টার লা নিনা আবহাওয়ার ঘটনাকে উল্লেখ করেছে, যা দুর্যোগ বাস্তুচ্যুতির একটি প্রধান কারণ হিসেবে ২০২২ সালে টানা তৃতীয় বছর অব্যাহত ছিল। এটি পাকিস্তান, নাইজেরিয়া ও ব্রাজিলে রেকর্ড মাত্রার বন্যায় বাস্তুচ্যুতি এবং সোমালিয়া, কেনিয়া ও ইথিওপিয়ায় রেকর্ডের সবচেয়ে খারাপ খরায় অবদান রাখে।
নরওয়েজিয়ান রিফিউজি কাউন্সিলের সেক্রেটারি জেনারেল জ্যান এগেলান্ড বলেন, ২০২২ সালে সংঘাত ও প্রাকৃতিক দুর্যোগের একটি 'নিখুঁত ঝড়' হয়েছিল, যার ফলে এমন মাত্রায় বাস্তুচ্যুতি হয়েছিল, যা আগে কখনও দেখা যায়নি।