মার্চ ২১, ২০২২, ১১:৫৩ পিএম
রোহিঙ্গা সংখ্যালঘুদের ওপর মিয়ানমারের সামরিক বাহিনীর চালানো সহিংসতাকে গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধ বলে আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করেছে যুক্তরাষ্ট্র। রয়টার্সের খবরে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
সোমবার ওয়াশিংটনের ইউএস হলোকাস্ট মেমোরিয়াল মিউজিয়ামে দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন এ ঘোষণা দেন।
এ সময় ব্লিঙ্কেন হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, যতদিন জান্তা সরকার ক্ষমতায় থাকবে, তত দিন মিয়ানমারে কেউ নিরাপদ নয়।
তিনি বলেন, রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে হামলা ছিল 'ব্যাপক বিস্তৃত ও পদ্ধতিগত' এবং প্রমাণগুলো বলছে- হামলার সুস্পষ্ট উদ্দেশ্য ছিল মূলত সংখ্যালঘু মুসলিম জনগোষ্ঠীকে ধ্বংস করা।
ভাষণে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ভুক্তভোগীদের মর্মান্তিক ও করুণ বর্ণনা পড়ে শোনান, যারা কি না মাথায় গুলিবিদ্ধ, ধর্ষণ ও নির্যাতনের শিকার হয়েছেন।
২০১৭ সালে মিয়ানমারের সশস্ত্র বাহিনীর চালানো সামরিক অভিযানে কমপক্ষে ৭ লাখ ৩০ হাজার মুসলিম রোহিঙ্গা তাদের বাড়িঘর ছেড়ে প্রতিবেশী বাংলাদেশে আসতে বাধ্য হন। তারা হত্যা, দলবেঁধে ধর্ষণ এবং অগ্নিসংযোগের শিকার হয়েছেন বলে বর্ণনা দিয়েছেন। ২০২১ সালে মিয়ানমারের সেনাবাহিনী অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ক্ষমতা দখল করে।
ব্লিঙ্কেন বলেন, আমরা বার্মিজ সামরিক বাহিনীকে অভ্যুত্থানের পর থেকে অনেকগুলো একই ধরনের কলাকৌশল ব্যবহার করতে দেখেছি। এখন শুধু সেনাবাহিনী বার্মায় তাদের দমনমূলক শাসনের বিরোধিতা বা অবমূল্যায়নকারী হিসেবে কাউকে দেখলে টার্গেট করছে।
তিনি বলেন, ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারি থেকে সামরিক বাহিনীর নির্মম সহিংসতা, যারা অভ্যুত্থানের আগে বুঝতে পারেননি তাদের কাছে স্পষ্ট করেছে যে, বার্মার কেউ নৃশংসতার হাত থেকে নিরাপদ থাকবে না যতদিন সেনাবাহিনী ক্ষমতায় থাকবে।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ক্ষমতা গ্রহণ করার কিছু দিন পর ২০২১ সালের ১ ফেব্রুয়ারি মিয়ানমার সেনাবাহিনীর প্রধান জেনারেল মিন অং হ্লাইং সেনা অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ক্ষমতা দখল করেন। এরপর অভ্যুত্থানবিরোধীদের বিক্ষোভে সংঘর্ষে ঘটনায় ১৬০০ জনকে হত্যা এবং বেসামরিক নেত্রী অং সাং সু চিসহ প্রায় ১০ হাজার জনকে আটক করা হয়।