আওয়ামী লীগ ও বিএনপি হচ্ছে অচল পয়সার এপিঠ-ওপিঠ। দেশের মানুষ চকচকে নতুন পয়সা চায়। এ অবস্থায় দেশের মানুষ জাতীয় পার্টিকেই বিকল্প শক্তি মনে করছে বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় পার্টির (জাপা) চেয়ারম্যান জিএম কাদের।
শনিবার (১ জানুয়ারি) বিকেলে রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে জাপার ৩৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর আলোচনা সভায় তিনি একথা বলেন।
দেশের নির্বাচন ব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে বলে মন্তব্য করে জাতীয় পার্টির (জাপা) চেয়ারম্যান জি এম কাদের বলেছেন, “একসময় নির্বাচন ছিল উৎসবমুখর। এখন নির্বাচন হচ্ছে ভয় আর আতঙ্কের নাম। দেশের মানুষ রক্তাক্ত নির্বাচন চায় না। মানুষ খুনোখুনির নির্বাচন পছন্দ করে না।”
বর্তমান নির্বাচন ব্যবস্থায় অসন্তোষ জানিয়ে জি এম কাদের বলেন, “নির্বাচনে ভিন্নমতাবলম্বীদের মাঠে দাঁড়াতে দেয় না ক্ষমতাসীনরা। তারা ক্ষমতার জোরে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী হতে চায়। প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা ভোট ডাকাতি ও অব্যবস্থাপনার সঙ্গে জড়িয়ে যাচ্ছেন, এটা জাতির জন্য লজ্জাজনক। স্বাধীনতার ৫০ বছরে নির্বাচন কমিশন গঠন আইন না হওয়াও লজ্জাজনক।”
দেশের বর্তমান পরিস্থিতির উল্লেখ করে জাপার চেয়ারম্যান বলেন, “এককথায় দেশের মানুষ ভালো নেই। কোটি কোটি বেকার, কর্মসংস্থান নেই। অভাব–অনটনে যুবসমাজ মাদকে আসক্ত হয়ে পড়ছে। প্রতিদিন লাফিয়ে লাফিয়ে দ্রব্যমূল্য বেড়েই চলছে। গ্যাস, পানি ও বিদ্যুতের বিল বাড়ছে, কিন্তু মানুষের আয় বাড়ছে না।”
দেশের মানুষ আওয়ামী লীগ ও বিএনপির হাত থেকে মুক্তি চায় উল্লেখ করে জাপার চেয়ারম্যান বলেন, “এ দুটি দল অপকর্ম, দুর্নীতি, সন্ত্রাস, লুণ্ঠনের ধারাবাহিকতা অব্যাহত রেখেছে।”
জি এম কাদের বলেন, “এখানে এক ব্যক্তির হাতে নির্বাহী বিভাগের সর্বময় ক্ষমতা, তার হাতেই সরকারের জবাবদিহি করার প্রতিষ্ঠান। নির্বাচন কমিশন সৃষ্টি ও নির্বাচন পরিচালনা চাবিকাঠি সেই একই ব্যক্তির হাতে দেওয়া হয়েছে। বর্তমানে দেশে সাংবিধানিকভাবে সার্বিক একনায়কতন্ত্র চালু আছে।”