অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিসহ উন্নয়নের পথ তৈরি করে বাংলাদেশ এখন বিশ্বের মডেল: মার্কিন সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী

দ্য রিপোর্ট ডেস্ক

এপ্রিল ২, ২০২৩, ১২:৪০ এএম

অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিসহ উন্নয়নের পথ তৈরি করে বাংলাদেশ এখন বিশ্বের মডেল: মার্কিন সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী

১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের পর দেশ পুনর্গঠন এবং বর্তমানে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি, অন্তর্ভুক্তি ও উন্নয়নের পথ তৈরি করে বাংলাদেশ বিশ্বের কাছে আজ একটি মডেল হিসেবে কাজ করছে।

শনিবার ঢাকায় প্রাপ্ত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, বাংলাদেশের ৫৩তম স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষ্যে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ওয়াশিংটন ডিসিতে বাংলাদেশ দূতাবাস আয়োজিত এক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে জনসংখ্যা, শরণার্থী ও অভিবাসনবিষয়ক মার্কিন সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী জুলিয়েটা ভালস নয়েস এসব কথা বলেছেন। 

সম্মানিত অতিথির বক্তব্যে ওই অনুষ্ঠানে নয়েস আরও বলেন, ১০ লাখেরও বেশি রোহিঙ্গা শরণার্থীকে আশ্রয় দেওয়ায় বাংলাদেশি নেতৃত্ব ও উদারতার ভূয়সী প্রশংসা করে জুলিয়েটা বলেন, ২০১৭ সালে মিয়ানমার থেকে পালিয়ে আসা কয়েক লাখ রোহিঙ্গার জন্য বাংলাদেশ দরজা খুলে দেয়। দেশের মানুষও তাদের সাহায্যের হাত ও হৃদয় উন্মুক্ত করে দেয়।

মার্কিন এই কর্মকর্তা বলেন, বন্ধুত্বের অর্ধশতাব্দীরও বেশি সময় ধরে বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্র ব্যাপক পরিসরে সহযোগিতা জোরদার করেছে। দুই দেশ অভিবাসী এবং শক্তিশালী ব্যবসায়িক সংযোগের মাধ্যমে ঘনিষ্ঠ বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সম্পর্ক গড়ে তুলেছে। যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের সাথে তাদের সহযোগিতা অব্যাহত ও সম্প্রসারণে আগ্রহী। যাতে তারা স্থানীয় সম্প্রদায়ের চাহিদা মেটাতে ও রোহিঙ্গা সমস্যার টেকসই সমাধানকে এগিয়ে নিতে পারে। 

নয়েস বলেন, রোহিঙ্গা সংকটে যুক্তরাষ্ট্র একক বৃহত্তম দাতাদেশ হওয়ায় তিনি গর্বিত। যুক্তরাষ্ট্র ও সরকারের পক্ষ থেকে তিনি বাংলাদেশের জনগণকে তাদের স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষ্যে অভিনন্দন জানান।

দূতাবাসের বঙ্গবন্ধু মিলনায়তনে আয়োজিত অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন যুক্তরাষ্ট্রে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ ইমরান। 

অনুষ্ঠানে বিশ্বব্যাংকের বিকল্প নির্বাহী পরিচালক ড. আহমদ কায়কাউস, ভার্জিনিয়ার স্টেট সিনেটর জে চ্যাপম্যান পিটারসেন, যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের সভাপতি ড. সিদ্দিকুর রহমান, বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত ও কূটনীতিক এবং মার্কিন সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন। রোহিঙ্গা সংকটের টেকসই সমাধানে অকুণ্ঠ সমর্থন ও অঙ্গীকার করায় যুক্তরাষ্ট্রকে বাংলাদেশের আন্তরিক ধন্যবাদ জানান রাষ্ট্রদূত ইমরান।

অনুষ্ঠানে জুলিয়েটা নয়েস এবং অতিথিরা স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষ্যে কেক কাটেন। অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন বাংলাদেশ দূতাবাসের কাউন্সিলর (পলিটিক্যাল-৩) শামীমা ইয়াসমিন স্মৃতি।

ইউএনবি

Link copied!