জানুয়ারি ২৭, ২০২৩, ০৪:০৯ পিএম
১৯৭৭ সালের ১৫ আগস্ট তিন হাজার ৫০০ মণ লবণ নিয়ে কক্সবাজার থেকে ট্রলারে চাঁদপুর যাচ্ছিলেন ছুরত আলম সারেং। বঙ্গোপসাগরের চট্টগ্রাম সীমান্তে পৌঁছালে লবণ এবং নৌকা আত্মসাতের জন্য ট্রলার ও লবণ মালিকের ছেলে ছুরত আলম সারেংকে মারধর করে হাত-পা বেঁধে সাগরে ফেলে দেয় ট্রলারে থাকা অন্যান্য মাঝি-মাল্লা। নিহতের বাবা আলতাছ মিয়া চট্টগ্রামের বন্দর থানায় আটজনের নাম উল্লেখ করে মামলা করেন। এ ঘটনায় অভিযুক্ত সাতজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
বৃহস্পতিবার (২৬ জানুয়ারি) চট্টগ্রাম জননিরাপত্তা বিঘ্নকারী অপরাধ দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. সেলিম মিয়া এ রায় দেন। এ সময় দণ্ডিতদের কেউ আদালতে উপস্থিত ছিলেন না।
দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- চট্টগ্রামের পটিয়ার শিকলবাহা এলাকার হাজি এবাদ আলীর ছেলে মো. আবদুস সাত্তার, ভোলা জেলার নবীপুর গ্রামের সানাউল্লার ছেলে মো. ইব্রাহিম, কক্সবাজার জেলার রামু উপজেলার মুক্তারপুর গ্রামের খুরুলিয়া এলাকার কালাম আহমেদের ছেলে মো. শফি, সন্দ্বীপ উপজেলার দক্ষিণ শুলাবাহর এলাকার মো. মিয়ার ছেলে বেচু মিয়া, নোয়াখালী জেলার হাতিয়া উপজেলার দক্ষিণ হাতিয়া এলাকার আবদুর রশিদের ছেলে রুহুল আমিন, ভোলার লালমোহন থানার ইদ্রিছ মিয়া লাটিয়ালের ছেলে মো. খোরশেদ আলী ও ভোলার দৌলতখান থানার জুয়নগর এলাকার আবুল বেপারীর ছেলে আবদুল মতিন।
এ মামলায় রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী (পিপি) মো. জাহাঙ্গীর আলম এ তথ্য নিশ্চিত করে সংবাদমাধ্যমকে বলেন, আসামিদের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় সাত আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড, পাঁচ হাজার টাকা করে অর্থদণ্ড অনাদায়ে আরও তিন মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ডে দণ্ডিত করেছেন আদালত।
তিনি বলেন, মামলাটি দীর্ঘদিন অন্য আদালতে বিচারাধীন ছিল। ২০১৬ সালে এটি জননিরাপত্তা বিঘ্নকারী অপরাধ দমন ট্রাইব্যুনালে হস্তান্তর করা হয়।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, ছুরত আলম সারেং হত্যার ঘটনার প্রতিবাদ করায় অপর এক মাঝিকেও মারধর করে সাগরে ফেলে দেয়। ওই মাঝি সাঁতরে অপর একটি নৌকায় ওঠায় তিনি রক্ষা পান। তবে ছুরত আলম সারেংকে আর পাওয়া যায়নি। এ ঘটনায় ছুরত আলমের বাবার করা মামলায় আটজনকে আসামি করা হয়। এরমধ্যে একজন মারা যাওয়ায় তাকে এ মামলা থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়।