মে ৩০, ২০২৩, ১১:২৬ এএম
দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) দায়ের করা পৃথক মামলায় ঢাকা মহানগর উত্তর শাখা বিএনপির আহ্বায়ক আমানুল্লাহ আমানের ১৩ বছর এবং বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকুর ৯ বছরের সাজা বহাল রেখেছে হাইকোর্ট।
মঙ্গলবার (৩০ মে) বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি খিজির হায়াতের হাইকোর্ট বেঞ্চ পৃথক মামলায় এ রায় দেন।
এর আগে, গত ১৪ মে দুর্নীতির মামলায় বিএনপির নেতা আমান উল্লাহ আমান ও তার স্ত্রী সাবেরা আমানের খালাসের রায় বাতিল করে হাইকোর্টে আপিলের পুনঃশুনানি শেষ হয়।
ওইসময় আমান ও তাঁর স্ত্রীর আপিলের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন আইনজীবী এ এম মাহবুব উদ্দিন খোকন। দুদকের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী খুরশীদ আলম খান। অপরদিকে, রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন ও ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন।
সম্পদের তথ্য গোপন ও জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে ২০০৭ সালের ৬ মার্চ রাজধানীর কাফরুল থানায় আমান ও তাঁর স্ত্রীর বিরুদ্ধে মামলা করে দুদক। ওই বছরের ২১ জুন বিশেষ জজ আদালতের রায়ে আমানকে ১৩ বছরের ও সাবেরাকে তিন বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। এ রায়ের বিরুদ্ধে তারা হাইকোর্টে আপিল করেন। ২০১০ সালের ১৬ আগস্ট হাইকোর্ট সেই আপিল মঞ্জুর করে তাদের খালাস দেন।
হাইকোর্টের এ রায়ের বিরুদ্ধে দুদক আপিল করলে ২০১৪ সালের ২৬ মে আপিল বিভাগ সে রায় বাতিল করে হাইকোর্টকে মামলাটির আপিল পুনঃশুনানির নির্দেশ দেন।
অপরদিকে, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকুর বিরুদ্ধে দুদকের আপিলের রায়ও মঙ্গলবার ঘোষণা করা হবে।
চার কোটি ৯৬ লাখ ১১ হাজার ৯১৬ টাকার সম্পত্তির হিসাব ও আয়ের উৎস গোপন করার অভিযোগে টুকুর বিরুদ্ধে মামলা করে দুদক। ২০০৭ সালের মার্চে রাজধানীর মোহাম্মদপুর থানায় দায়ের করা মামলায় একই বছরের ২৮ জুন মহানগর হাকিম আদালতে অভিযোগপত্র দেন দুদকের উপ-পরিচালক এস এম এম আখতার হামিদ ভূঞা। এক বছরের ১৫ নভেম্বর বিচারিক আদালত এ মামলার রায়ে টুকুকে ৯ বছরের কারাদণ্ড দেন।
ওই রায়ের বিরুদ্ধে টুকু আপিল করলে ২০১১ সালের ১৫ জুন তাঁকে খালাস দেন হাইকোর্ট। তবে হাইকোর্টের ওই রায়ের বিরুদ্ধে দুদক আপিল করে। পরে ২০১৪ সালের ২১ জানুয়ারি খালাসের রায় বাতিল করে পুনঃশুনানির আদেশ দেন আপিল বিভাগ।