দুই মাসে মবের পিটুনিতে ৪৯ জনের মৃত্যু

দ্য রিপোর্ট ডেস্ক

অক্টোবর ৫, ২০২৪, ০৩:২৯ পিএম

দুই মাসে মবের পিটুনিতে ৪৯ জনের মৃত্যু

প্রতীকী ছবি

চলতি বছরের আগস্ট ও সেপ্টেম্বর মাসে মবের পিটুনিতে মোট ৪৯ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছে আইন ও সালিশ কেন্দ্র (আসক)। একই সাথে সংগঠনটির দাবি,চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে জুলাইয়ের চেয়ে আগস্ট ও সেপ্টেম্বর মাসে গণপিটুনির হার বেশি।

জার্মানভিত্তিক সংবাদমাধ্যম ডয়চে ভেলেতে প্রকাশিত এক প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য জানা গেছে। আইনজীবী মনজিল মোরসেদের বরাত দিয়ে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিচারিক প্রক্রিয়া ছাড়া যেকোনো হত্যাই বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড।

যদিও নবনিযুক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান গত ২১ সেপ্টেম্বর ঢাকায় এক অনুষ্ঠানে দাবি করেন, ‘৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর থেকে দেশে কেউ বিচারবহির্ভূত হত্যার শিকার হয়নি।’

আসকের হিসাব অনুযায়ী, চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে সেপ্টেম্বর—এই ৯ মাসে দেশের বিভিন্ন এলাকায় ৮১ জনকে গণপিটুনি বা পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে। এর মধ্যে আগস্ট মাসে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে ২১ জনকে আর সেপ্টেম্বর মাসে ২৮ জনকে। অর্থাৎ এই দুই মাসে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে ৪৯ জনকে। আগের সাত মাসে ৩২ জনকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে।

মানবাধিকার কর্মী এবং আইন ও সালিশ কেন্দ্রের সাবেক নির্বাহী পরিচালক নূর খান বলেন, ‘অস্থিতিশীল একটা পরিস্থিতি ছিল। তবে এসব থেকে আমরা এখনও পরিত্রাণ পাইনি। এসব ঘটনা সরকারকে শক্ত হাতে দমন করতে হবে। এই ঘটনা যেন বারবার না ঘটে সেজন্য এখনকার সরকারকেই নজির সৃষ্টি করতে হবে।’

সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মনজিল মোরসেদ ডয়চে ভেলেকে বলেন, ‘বিচারিক প্রক্রিয়া ছাড়া, সেটা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী হোক আর গণপিটুনিতে হোক, সব হত্যাকাণ্ডই বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড। এই যে মব জাস্টিসের নামে হত্যার ঘটনা ঘটছে, এর দায় তো সরকারকে নিতে হবে। এসবও বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড৷ জণগণের জানমালের নিরাপত্তার দায়িত্ব তো সরকারের।’

মনজিল মোরসেদের মতে, ‘এখন বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড মব জাস্টিস হচ্ছে। এই ধরনের ঘটনা আরও ঘটবে, যদি এই পরিস্থিতিকে স্ট্রংলি হ্যান্ডেল করা না হয়। আইনশৃঙ্খলাসহ সব ক্ষেত্রেই যে একটি অস্থির পরিস্থিতি চলছে, বিচারাঙ্গনেও অস্থিরতা আছে। এগুলো স্বাভাবিক করতে হবে।’

নূর খান বলেন, ‘এখন পর্যন্ত যে ঘটনাগুলো ঘটেছে সেগুলোর ব্যাপারে বড় কোনো পদক্ষেপ আমরা নিতে দেখিনি। ফলে মব জাস্টিস উৎসাহিত হচ্ছে। যদি কাঠোর ব্যবস্থা নেয়া হতো, তাহলে এগুলো ঘটতো না।’

আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী নিষ্ক্রিয় থাকার সুযোগ নিয়ে দুষ্কৃতিকারীরা দেশকে অস্থিতিশীল করে তুলছে বলেও দাবি করেন নূর খান।

Link copied!