চাঁদা দাবির প্রতিবাদে মহাসড়ক অবরোধ

দ্য রিপোর্ট ডেস্ক

অক্টোবর ২, ২০২৪, ০৮:২৬ পিএম

চাঁদা দাবির প্রতিবাদে মহাসড়ক অবরোধ

ছবি: সংগৃহীত

রংপুরের তারাগঞ্জে মালবাহী ট্রাক আটকে পুলিশ চাঁদা দাবির প্রতিবাদে প্রায় এক ঘণ্টা সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছেন ট্রাক শ্রমিক ইউনিয়নের নেতা–কর্মীরা।

বুধবার (২ অক্টোবর) দুপুরে রংপুর-দিনাজপুর মহাসড়কের তারাগঞ্জ চৌপথী এলাকায় ট্রাক দিয়ে প্রতিবন্ধকতা তৈরি করে চালক ও সহকারীরা বিক্ষোভ করেন। এতে মহাসড়কে দুই পাশে শত শত যানবাহন আটকা পড়ে যানজটের সৃষ্টি হয়।

পুলিশ ও ট্রাক শ্রমিক ইউনিয়নের নেতা-কর্মীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ইকরচালী ইউনিয়নের কাচনা গ্রামের ট্রাকচালক আতিয়ার রহমান তারাগঞ্জ বাজারে ট্রাকে মালামাল ভর্তি করে ঢাকার উদ্দেশে রওনা দিলে রংপুর-দিনাজপুর মহাসড়কের বালাবাড়ি এলাকায় হাইওয়ে থানার সামনে চেকপোস্টে তাকে থামানো হয়। এ সময় হাইওয়ে থানার উপপরিদর্শক (এসআই) রফিকুল ইসলাম ও সহকারী সার্জেন্ট পারভেজ হোসেন চালক আতিয়ার রহমানের কাছে কাগজপত্র যাছাই করে ত্রুটি পাওয়ায় মামলা দেন।

চালক আতিয়ারের দাবি, “তার সব কাগজপত্র সঠিক থাকার পরও এসআই রফিকুল ইসলাম ও সার্জেন্ট পারভেজ হোসেন এক হাজার টাকা চাঁদা দাবি করেন। চাঁদা না দেওয়ায় তার নামে মামলা দেওয়া হয়। এরপর বেলা একটার দিকে হাইওয়ে থানা থেকে ট্রাক ফেরত এনে তারাগঞ্জ চৌপথী এলাকায় মহাসড়কের ওপর রেখে বিক্ষোভ শুরু করেন ট্রাক শ্রমিক ইউনিয়নের নেতা-কর্মীরা। পরে বেলা দুইটার দিকে তারাগঞ্জ থানা–পুলিশ ও হাইওয়ে থানা–পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে মহাসড়ক থেকে নেতা-কর্মীদের সরিয়ে দেন।”

ট্রাকচালক আতিয়ার রহমান অভিযোগ করেন বলেন, “ট্রাক নিয়ে ঢাকার উদ্দেশের রওনা দিলে সকাল সাড়ে ৯টায় তারাগঞ্জ হাইওয়ে থানার সামনে এলে পুলিশ থামার সংকেত দেয়। ট্রাক থামালে তারা আমার কাছে কাগজপত্র চান। আমি কাগজপত্র দেখাই। আমার কাগজপত্রে কোনো ত্রুটি না থাকলেও এসআই রফিকুল ইসলাম ও সার্জেন্ট পারভেজ হোসেন আমার ড্রাইভিং লাইসেন্স ঠিক নেই বলে (হালকা গাড়ি চালানোর লাইসেন্স) এক হাজার টাকা দাবি করেন। টাকা দিতে রাজি না হওয়ায় তারা আমার ওপর ক্ষিপ্ত হয়ে মামলা দেন। এ ঘটনা শুধু আজকের নয়, প্রতিদিনের। পুলিশ রাস্তায় দাঁড়ায় শুধু টাকা কামাইয়ের ধান্দায়। এটা বন্ধ করতে হবে।”

তারাগঞ্জ থানার ওসি আবু বক্কর সিদ্দিক বলেন, “খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে আসি। আমরা চালক, ট্রাক শ্রমিক ইউনিয়নের নেতাদের সঙ্গে কথা বলে তাদের সড়ক থেকে সরিয়ে নিয়েছি। এখন পরিস্থিতি শান্ত আছে।”
 

Link copied!