১৫ লাখ টাকার ছাগল বিতর্কে যা বললেন ইফাত

জাতীয় ডেস্ক

জুন ২০, ২০২৪, ০৩:৫৪ পিএম

১৫ লাখ টাকার ছাগল বিতর্কে যা বললেন ইফাত

ছবি: সংগৃহীত

কোরবানির ঈদ তথা পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে ১৫ লাখ টাকায় একজন রাজস্ব কর্মকর্তার ছেলের ছাগল কেনার ঘটনা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে হয়ে উঠেছে সর্বজনচর্চিত। কটাক্ষের শিকার হয়েছেন জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) কর্মকর্তা মতিউর রহমান।

গতকাল বুধবার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তাকে ট্রোলকারীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করতে পুলিশের সাইবার ক্রাইম ইউনিটে যাওয়ার কথা জানান তিনি।

বিষয়টি নিয়ে দেশজুড়ে ওঠে আলোচনার ঝড়।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দেখা যায়, একজন রাজস্ব কর্মকর্তার ছেলে মুস্তাফিজুর রহমান ইফাত একটি খাসির সামনে দাঁড়িয়ে ছবি পোস্ট করেন। যার দাম বলা হয় ১৫ লাখ টাকা। স্ট্যাটাস দিয়ে জানান, ঈদে সেটা কোরবানি দেবেন।

সরকারি কর্মকর্তার ছেলে কীভাবে এত টাকা দিয়ে খাসি কিনে কোরবানি দেয় সেটা নিয়ে শুরু হয় আলোচনা। এর মধ্যেই রাজস্ব কর্মকর্তার ছেলে ইফাত দেশের একটি শীর্ষস্থানীয় টেলিভিশনের প্রতিবেদককে মোবাইল ফোনে বলেন, “সাদিক এগ্রোর কর্ণধার ইমরানের অনুরোধে ছবি তুলেছি। খাসিটা কেনার জন্য না।”

ইফাত বলেন, “সাদিক এগ্রোর যিনি মালিক, ইমরান ভাই। তার কথা অনুযায়ী আমি ছবি তুলি। পরে সবাইকে বলি খাসিটি কিনেছি। প্রকৃত অর্থে খাসিটা কেনা হয়নি, সেটা বাসায়ও আনা হয়নি। সেটা কোরবানিও দেওয়া হয়নি। তিনি আমাকে বলেছেন দেখে আমি করতে বাধ্য হয়েছি। কিন্তু তার কারণে আজকে আমাকে এদিন দেখতে হবে তা আমি কোনওদিনও বুঝিনি।”

সাদিক এগ্রোর মালিক ইমরানের সঙ্গে ওই টেলিভিশনের প্রতিবেদক যোগাযোগ করেছিলেন। ইমরান বলেন, “খাসিটা ১২ লাখে কিনতে ১ লাখ টাকা বায়না করেছিলেন ইফাত। পরে বিষয়টা ভাইরাল হলে খাসিটা আর নেননি তিনি। কোরবানির আগ পর্যন্ত এগ্রো থেকে বারবার যোগাযোগ করা হলেও ইফাত রেসপন্স করেননি।”

তিনি আরও বলেন, “ইফাত নামের একটি ইয়াং ছেলে ২০-২২ বছর হয়তো বয়স হবে। সে আমার কাছে ছাগলটা কিনছে, দামাদামি করছে। আমাকে ১ লাখ টাকা বুকিং দিয়ে গেছে। গত ১২ জুন বাকি টাকা দিয়ে ছাগলটা নেওয়ার কথা। ১১ জুন দিবাগত রাত থেকে আমরা তাকে আর যোগাযোগ করতে পারছি না। ছাগলটা এখনও আমাদের খামারে আছে। সে ছাগলটা ব্যালেন্স টাকা দিয়ে ডেলিভারি নেয়নি।”

এদিকে ইফাতের ফেসবুক ঘেটে দেখা গেছে যে, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের কর্মকর্তা মতিউর রহমানই তার বাবা। যদিও গতকাল বুধবার গণমাধ্যমে ইফাতকে নিজের ছেলে নয় বলে দাবি করেছিলেন এই কর্মকর্তা।

Link copied!