ঢাকার কেরানীগঞ্জে অটোরিক্সাচালক আব্দুর হক আকন (২৫) কে খুন করে অটোরিকশা ছিনতাই ঘটনার মূল হোতা মো. মোরশেদ আলমসহ (৪৫) তিনজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন(পিবিআই), ঢাকা জেলা। গ্রেফতার অপর দুই জন হলেন- মাসুদ (৩৮) এবং দেলুয়ার (৩৩)।
গতকাল রবিবার সন্ধ্যায় রাজধানীর মোহাম্মদপুর থানাধীন রায়ের বাজার (বাগানবাড়ী) এলাকায় ভাড়া বাসা থেকে মোরশেদ আলমকে গ্রেফতার করা হয়। পরে তার দেওয়া তথ্যে মাসুদ এবং দেলোয়ারকে গ্রেফতার করে পিবিআই। এসময় ছিনতাই হওয়া অটোরিক্সার মোটর, রিক্সা প্যাডেল এবং ৪টি ব্যাটারী উদ্ধার করা হয়।
সোমবার এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানিয়েছেন পিবিআই ঢাকা জেলার এসপি জনাব মো. কুদরত-ই-খুদা।
প্রেস ব্রিফিংয়ে জানানো হয়, ভিকটিম আব্দুল হক আকন (২৫) ঢাকার মোহাম্মদপুর থানাধীন রায়ের বাজার (বাগানবাড়ী) এলাকায় ভাড়া বাসায় বসবাস করেন। তিনি পেশায় একজন অটোরিক্সা চালক ছিলেন। গত ১৩ জুন ২০২৩ তারিখ দিবাগত রাতে ভিকটিম জীবিকার তাগিদে তার অটোরিক্সা নিয়ে বের হয়।এর পরের দিন সকাল ৭টার দিকে কেরানীগঞ্জ মডেল থানাধীন কলাতিয়া নিমতলী ব্রিজের পাশে তার মরদেহ পাওয়া যায়। এই ঘটনায় ভিকটিম আব্দুল হক আকনের (২৫) এর বড় ভাই আ. রব আকন (৪৪) বাদী হয়ে মোরশেদ আলমের নামসহ অজ্ঞাতনামা কয়েকজনের বিরুদ্ধে মামলা করেন। মামলার পর থানা পুলিশের পাশাপাশি পিবিআই ঢাকা জেলা ঘটনার বিষয়ে ছায়া তদন্ত শুরু করে। তদন্তের এক পর্যায়ে পিবিআই তথ্য প্রযুক্তির মাধ্যমে ঘটনার মাত্র ৭২ ঘন্টার মধ্যে হত্যায় জড়িত আসামী মোরশেদ আলমকে মোহাম্মদপুর ঢাকা থেকে গ্রেফতার করে। পরে তার কাছ থেকে তথ্য নিয়ে অন্য সহযোগিদের গ্রেফতার করা হয়।
পিবিআই ঢাকা জেলার এসপি মো. কুদরত-ই-খুদা বলেন, গ্রেফতারকৃত আসামি মো. মোরশেদ আলম সংঘবদ্ধ ব্যাটারিচালিত অটোরিক্সা ছিনতাই চক্রের সক্রিয় সদস্য। আমরা তথ্য প্রযুক্তির মাধ্যমে ঘটনায় জড়িত সন্দেহে আসামি মোরশেদ আলম (৪৫) গ্রেফতার করি। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আসামি মোরশেদ আলম ঘটনার সাথে জড়িত থাকার বিষয়টি স্বীকার করে। তার দেয়া তথ্য মতে এ ঘটনায় ছিনতাই হওয়া অটোরিকশার মোটরসহ প্যাডেল এবং ৪ টি ব্যাটারি উদ্ধার করাসহ সহযোগি অপর দুই আসামি দেলোয়ার ও মাসুদকে গ্রেফতার করা হয়।