ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের কারণে সারা দেশে সব ধরনের যাত্রীবাহী নৌযান চলাচল বন্ধ ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ)। নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয়ের তথ্য ও জনসংযোগ কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর আলম খান বলেন, ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের কারণে অভ্যন্তরীণ নদীবন্দর থেকে সব ধরনের যাত্রীবাহী নৌযান চলাচল বন্ধ করে দিয়েছে বিআইডব্লিউটিএ। পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত সকল ধরনের নৌযান চলাচল বন্ধ থাকবে।
হঠাৎ করেই সিদ্ধান্ত
বিআইডব্লিউটিএ চেয়ারম্যান গোলাম সাদেক বলেন, সারাদেশে যাত্রীবাহী নৌযান চলাচল বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। বিকেল পৌনে ৫টায় কখন থেকে বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এখন থেকে।
এদিকে ফেরি চলাচল স্বাভাবিক থাকবে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন করপোরেশনের (বিআইডব্লিউটিসি) চেয়ারম্যান সৈয়দ মো. তাজুল ইসলাম। তিনি বলেন, ফেরি চলাচল স্বাভাবিক থাকবে। তবে সতর্কতা সংকেত আরও বাড়লে বন্ধের বিষয়ে আমরা সিদ্ধান্ত নেব।
পশ্চিমবঙ্গে আঘাত হানার সম্ভাবনা ইয়াসের
প্রবল ঘূর্ণিঝড় ইয়াস বুধবার (২৬ মে) দুপুর নাগাদ ভারতের উত্তর পশ্চিমবঙ্গ উপকূলে আঘাত হানতে পারে। এর প্রভাবে দেশের উপকূলের ১৪ জেলায় ঘণ্টায় ১০০ কি.মি. পর্যন্ত গতিতে ঝোড়ো হাওয়াসহ ভারী বর্ষণ হতে পারে। এছাড়া পূর্ণিমার জেরে একাধিক জেলায় জোয়ারের পানি স্বাভাবিকের চেয়ে দুই ফুট বেশি উচ্চতায় উঠতে পারে।
প্রবল ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৬৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৮৯ কিলোমিটার; যা দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়ার আকারে ১১৭ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের কাছে সাগর খুবই বিক্ষুব্ধ হয়ে আছে। এ প্রেক্ষিতে চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরকে দুই নম্বর দূরবর্তী হুঁশিয়ারি সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।