রাজধানীতে যানজট নিরসণ ও নিরাপদ যাতায়াত নিশ্চিত করতে শহরের চারপাশে ৮৯ কিলোমিটার চক্রাকার রেললাইন স্থাপন করা হবে বলে জানিয়েছেন রেলপথ মন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন। সোমবার (৮ নভেম্বর) কমলাপুর রেলস্টেশনে ‘স্বয়ংক্রিয় ট্রেন ওয়াশিং প্ল্যান্টের’ উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
রেলমন্ত্রী বলেন, ঢাকার যানজট নিরসন এবং যাতায়াত সুবিধা নিশ্চিত করতে এই সার্কুলার ট্রেন চালু করা হবে। এরমধ্যে ৯ কিলোমিটার রেললাইন থাকবে মাটির নিচে। বাকি রেলপথ এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে হবে।
বিশ্বের অন্যান্য দেশের চেয়ে আমাদের দেশ রেল যোগাযোগে পিছিয়ে রয়েছে জানিয়ে নূরুল ইসলাম সুজন আরও বলেন, ‘বিদেশে বৈদ্যুতিক ব্যবস্থায় রেল চলে। সে ক্ষেত্রে বাংলাদেশ রেলওয়ে অনেক পিছিয়ে আছে। এ লক্ষ্যে আমরা এগিয়ে যাচ্ছি। বৈদ্যুতিক ট্রেন চালু করতে প্রকল্প বাস্তবায়নে কাজ চলছে।’
প্রধানমন্ত্রীর ১০টি অগ্রাধিকার প্রকল্পের মধ্যে দুটি রেল মন্ত্রণালয়ের উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘ এরমধ্যে একটি চট্টগ্রামের দোহাজারী থেকে মিয়ানমার হয়ে চীনে সম্প্রসারিত হবে। বাংলাদেশের ভেতর দিয়ে কলকাতা পর্যন্ত ট্রেন যাবে। গোটা এশিয়ার সঙ্গে বাংলাদেশ রেলওয়ে যোগ হবে। আরেকটি প্রজেক্ট হলো পদ্মা লিংক। ঢাকা থেকে যশোর পর্যন্ত ১৭১ কিলোমিটার। পদ্মা সেতুর ওপর দিয়ে পার হয়ে যাবে এই রেল লাইন।
রেলমন্ত্রী বলেন, ‘দ্বিতীয় রেলসেতু হবে বঙ্গবন্ধু সেতুর পাশে। ১০০ থেকে ১২০ কিলোমিটার গতিতে বঙ্গবন্ধু রেলসেতু দিয়ে ট্রেন যাতায়াত করতে পারবে। এই সেতুতে আলাদা দুটি লাইন থাকবে।’
২০২৪ সালে কমলাপুর রেলস্টেশন মাল্টি লেভেল হাব হবে জানিয়ে রেলমন্ত্রী বলেন, ‘কমলাপুরের পাশাপাশি তেজগাঁও ও বিমানবন্দর স্টেশনও ডিজিটাল হাব হবে। ঢাকায় রেল যোগাযোগে এক বৈপ্লবিক পরিবর্তন আসবে।’ এ ছাড়া শাহজাহানপুর এলাকা নতুনভাবে সজ্জিত হবে বলেও তিনি জানান।