নভেম্বর ১৮, ২০২২, ০৩:৫০ পিএম
আওয়ামী লীগ, বিএনপি ও পুলিশের মধ্যে শুক্রবার ত্রিমুখী সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে সিরাজগঞ্জের কামারখন্দে। এ সময় ছয় পুলিশ সদস্যসহ অন্তত ২৫ জন আহত হয়েছে। এদিন বেলা সাড়ে ১২টার দিকে উপজেলার জামতৈল পশ্চিম বাজারে ওই ঘটনা ঘটে। স্থানীয় গণমাধ্যম সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
স্থানীয় পুলিশ জানাচ্ছে, সংঘর্ষের সময় সিরাজগঞ্জ সহকারী পুলিশ সুপার (কামারখন্দ সার্কেল) আদনান মুস্তাফিজ ও কামারখন্দ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নুরন্নবী প্রধানসহ তাদের ৬ সদস্য আহত হয়েছেন।
উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক রেজাতে রাব্বি উত্থান জানান, ৩ ডিসেম্বর রাজশাহী বিভাগীয় গণসমাবেশ উপলক্ষে বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির নির্দেশে কামারখন্দ উপজেলার বিভিন্ন স্থানে লিফলেট বিতরণ ও মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় বিএনপি নেত্রী ও সাবেক সংসদ সদস্য সৈয়দা আসিফা আশরাফী পাপিয়া। প্রধান অতিথির বক্তব্য শেষে শান্তিপূর্ণভাবে নেতা–কর্মীরা ফেরার সময় কামারখন্দ উপজেলা আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতা–কর্মীরা আমাদের নেতা–কর্মীদের ওপর অতর্কিত হামলা করে এতে ১৪-১৫ জন নেতা-কর্মী আহত হয়েছেন।
এ ছাড়া আওয়ামী লীগের নেতা–কর্মীরা বিএনপির কেন্দ্রীয় নেত্রী পাপিয়া ও জেলা বিএনপির সভাপতি রুমানা মাহমুদের গাড়িসহ ৪টি গাড়ি ভাঙচুর করেছে বলে অভিযোগ করেছে বিএনপি।
জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সাইদুর রহমান বাচ্চুর ভাষ্যমতে, কেন্দ্রীয় নেত্রী সৈয়দা আসিফা আশরাফী পাপিয়া, জেলা বিএনপির সভানেত্রী রুমানা মাহমুদ সভা শেষে দলীয় কার্যালয় থেকে বের হয়ে রেলওয়ে স্টেশনে এলে আওয়ামী লীগের নেতা–কর্মীরা আমাদের ওপর অতর্কিত হামলা চালায়।
কামারখন্দ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সেলিম রেজা জানান, শুক্রবার বেলা ১২টার দিকে আমাদের দলের ১৪-১৫ নেতা কর্মী জামতৈল বাজার থেকে বাড়ি ফিরছিলেন। এ সময় বিএনপির নেতা-কর্মীরা তাঁদের কর্মসূচি শেষে ফেরার পথে বিএনপির নেতা–কর্মীরা আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গ সংগঠনের নেতা–কর্মীদের ওপর হামলা করে। হামলায় আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গ সংগঠনের ৮-১০ নেতা-কর্মী আহত হয়।
কামারখন্দ থানার ওসি নুরন্নবী প্রধানের ভাষ্য, ধাওয়া, পাল্টা ধাওয়ার ঘটনার সময় পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে যায়। এ সময় বিএনপির নেতা–কর্মীরা পুলিশের ওপরও হামলা চালায়। এ ঘটনায় তিনি নিজেও আহত হয়েছেন বলেও জানান।
কামারখন্দ সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার আদনান মোস্তাফিজের ভাষ্য, বিএনপির নেতা–কর্মীরা তাঁদের কর্মসূচি শেষে ফেরার পথে জামতৈল বাজারে দোকানপাট ভাঙচুর করে। এ সময় পুলিশ তাঁদের বাধা দিলে তাঁরা পুলিশের ওপর ইটপাটকেল নিক্ষেপ করতে থাকে। পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে গুলি ছোড়ে। বিএনপি নেতা-কর্মীদের হামলায় আমি নিজেও আহত হই। ওসিসহ আহত হন আরও পাঁচ পুলিশ কর্মকর্তা।