রাজস্ব আয় বাড়াতে সম্পদশালীদের সারচার্জের স্ল্যাব পুনর্গঠন করা হচ্ছে আগামী ২০২১-২২ অর্থবছরের বাজেটে। সারচার্জের স্ল্যাব কমিয়ে কর হার বাড়ানো হচ্ছে আগামী বাজেটে। যদিও অর্থনীতিবিদরা মনে করেন, বিদ্যমান পদ্ধতিতে সারচার্জ আদায় ফলপ্রসূ নয়। অর্থ মন্ত্রণালয় ও জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
সারচার্চজ কি?
সারচার্জ বা সম্পদ কর হচ্ছে এক ধরনের মাশুল। যা ব্যক্তির সম্পদের দলিল মূল্যের ওপর আদায় করা হয়। সর্বপ্রথম ১৯৬৩ সালে পাকিস্তান শাসনামলে সম্পদ কর (ওয়েলথ ট্যাক্স) চালু করা হয়। সেটি স্বাধীনতার পরও অব্যাহত ছিল। ১৯৮৮ সালে সরকার স্থায়ীভাবে সারচার্জ আদায় করতে অর্থ আইনের মাধ্যমে আয়কর অধ্যাদেশে ১৬/এ ধারা যুক্ত করে। বর্তমানে এ ধারা অনুযায়ী সারচার্জ আদায় করা হচ্ছে। পরে নানামুখী চাপে ১৯৯৭-৯৮ অর্থবছরে সেটি প্রত্যাহার করা হয়। ২০১১-১২ অর্থবছর থেকে তা পুনরায় সারচার্জ চালু করে।
নূন্যতম সারচার্জ বাতিল হবে
আগামী বাজেটে সারচার্জে স্তর ৫টিতে নামিয়ে এনে ন্যূনতম সারচার্জ প্রথা বাতিল করা হচ্ছে। নতুন নিয়ম অনুযায়ী, ৩ কোটি টাকা পর্যন্ত সম্পদের সারচার্জ দিতে হবে না। ৩ কোটি থেকে ১০ কোটি টাকা পর্যন্ত ১০ শতাংশ, ১০ কোটি থেকে ২০ কোটি টাকা পর্যন্ত ২০ শতাংশ, ২০ কোটি থেকে ৫০ কোটি পর্যন্ত ৩০ শতাংশ এবং ৫০ কোটি টাকার বেশি সম্পদশালীদের আয়করের ওপর ৩৫ শতাংশ হারে সারচার্জ দিতে হবে।
সারচার্জের ৭ টি স্তর বিদ্যমান
বর্তমানে সারচার্জের ৭টি স্তর আছে। নিট সম্পদের মূল্যমান ৩ কোটি টাকা পর্যন্ত হলে সারচার্জ দিতে হয় না। তবে সম্পদের মূল্যমান ৩ থেকে ৫ কোটি টাকা হলে বা একাধিক মোটরগাড়ি থাকলে বা যেকোনো সিটি করপোরেশন এলাকায় ৮ হাজার বর্গফুটের বেশি গৃহসম্পত্তি থাকলে ১০ শতাংশ কর বা ৩ হাজার টাকা ন্যূনতম সারচার্জ দিতে হয়।
সম্পদের পরিমাণ ৫ কোটি থেকে ১০ কোটি টাকা পর্যন্ত ১৫ শতাংশ, ১০ কোটি থেকে ১৫ কোটি টাকা পর্যন্ত ২০ শতাংশ বা ৫ হাজার টাকা, ১৫ কোটি থেকে ২০ কোটি টাকা পর্যন্ত ২৫ শতাংশ এবং ২০ কোটি টাকার বেশি সম্পদের ক্ষেত্রে ৩০ শতাংশ এবং ৫০ কোটি টাকার বেশি সম্পদের ক্ষেত্রে সম্পদের দশমিক ১ শতাংশ অথবা আয়করের ৩০ শতাংশের বেশি যেটি হয় সেই হিসেবে সারচার্জ দিতে হয়।