এপ্রিল ২৭, ২০২৩, ১০:০৩ এএম
দেশে লবণের উৎপাদন হয়েছে রেকর্ড পরিমাণে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ বলেছে এটি ডাইং শিল্পের জন্য এক বিরাট সুখবর।
চলতি মৌসুমের ২৫ এপ্রিল পর্যন্ত মোট লবণ উৎপাদন হয়েছে ১৮ লক্ষ ৩৯ হাজার টন, যা আগের বছরের চেয়ে শূন্য দশমিক ৩৮ শতাংশ বেশি। আগের বছরে লবণ উৎপাদনের সর্বোচ্চ রেকর্ড ছিল ১৮ লক্ষ ৩২ হাজার টন।
চলতি মৌসুমে লবণের এ উৎপাদন ৬২ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ বলে জানিয়েছে লবণ শিল্পের পৃষ্ঠপোষক বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প কর্পোরেশন (বিসিক)।
প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে বিসিক জানিয়েছে, আবহাওয়া অনুকূল থাকায় এবারের মৌসুমে লবণ উৎপাদনের পরিমাণ ২০ লাখ টন ছাড়িয়ে যাওয়ার আশা করা হচ্ছে।
বিসিক-এর উপ-মহাব্যবস্থাপক ও ‘লবণ সেল’ এর প্রধান সরোয়ার হোসেন দ্য রিপোর্ট ডট লাইভকে বলেন, ‘এটি দেশের অভ্যন্তরে ডাইং শিল্পের জন্য এক বিরাট সুখবর। কারণ ডাইং কারখানাগুলোতে ব্যবহৃত আমদানি পণ্য সোডিয়াম সালফেটের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় বিকল্প হিসেবে সোডিয়াল ক্লোরাইড (লবণ) ব্যবহার করছে।’
তিনি জানান, গত বছর লবণের দাম ছিল মণপ্রতি ২৫০ টাকা। এবার ৩৫০ টাকা। দাম বেশি হওয়ায় এবার বেশি সংখ্যক লবণ চাষী লবণ চাষ করেছে।
লবণ উৎপাদনের মৌসুম হয় সাধারণত মধ্য ডিসেম্বর থেকে মধ্য মে পর্যন্ত। এবারের চলতি মৌসুমে লবণ চাষের জন্য ৬৬ হাজার ৪২৪ একর জমি আবাদ করা হয়। গত বছর জমির পরিমাণ ছিল ৬৩ হাজার ২৯১ একর।
গত বছরের তুলনায় এ বছর লবণ চাষের জমি বৃদ্ধি পেয়েছে ৩ হাজার ১৩৩ একর। চাষির সংখ্যা ৩৭ হাজার ২৩১ জন থেকে এবার বৃদ্ধি পেয়ে দাঁড়িয়েছে ৩৯ হাজার ৪৬৭ জন।
লবণ চাষে বিসিক চাষীদের জামানতবিহীন ঋণের যোগান দিয়ে আসছে। লবণ চাষ এলাকায় বিদ্যুৎ সংযোগ এবং লবণ উৎপাদন, মজুদ ও মূল্য নির্ধারণে নিয়মিতভাবে মনিটরিং করার কথাও জানিয়েছে বিসিক।