মে ১৬, ২০২৫, ০৫:৫১ পিএম
ছবি: সংগৃহীত
সব পক্ষের সহযোগিতায় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সমস্যার দ্রুত সমাধান হবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের পরিকল্পনা উপদেষ্টা অধ্যাপক ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ।
শুক্রবার, ১৬ মে এ আশা প্রকাশ করেন। প্রথম আলোর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ এর আগে পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের পাশাপাশি শিক্ষা উপদেষ্টার দায়িত্ব পালন করেছিলেন। গত মার্চ মাসে নতুন শিক্ষা উপদেষ্টা হন সি আর আবরার। অধ্যাপক ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ এখন শুধু পরিকল্পনা উপদেষ্টার দায়িত্ব পালন করছেন। তবে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের দাবির কিছু বিষয় পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে সম্পর্কিত। কারণ, একনেক সভায় অনুমোদনের বিষয় আছে।
তিন দফা দাবিতে ঢাকার কাকরাইল মোড়ে টানা তিন দিন অবস্থান নিয়ে আন্দোলন করছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। এ পরিস্থিতিতে উপদেষ্টা ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ প্রথম আলোকে বলেন, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়কে কলেজ থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ে উন্নীত করার পর অনেক সময় চলে গেলেও শিক্ষার্থীদের সুযোগ-সুবিধা বাড়ানোর বিষয়টিকে চরম অবহেলা করা হয়েছে। এ কারণে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের পুঞ্জীভূত ক্ষোভ আছে।
গত বছরের নভেম্বর মাসে বিষয়গুলো নিয়ে আন্দোলনরত শিক্ষার্থী প্রতিনিধি ও বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের সঙ্গে তৎকালীন শিক্ষা উপদেষ্টা হিসেবে তার ফলপ্রসূ আলোচনা হয়েছিল বলে জানান ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ। তিনি বলেন, ‘সে সময় শিক্ষার্থীদের জানা ছিল না যে ইতিপূর্বেই শিক্ষা ও পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের স্ব–উদ্যোগে একনেক সভায় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিতীয় ক্যাম্পাস কেরানীগঞ্জে নির্মাণের প্রস্তাব অনুমোদিত হয়। একনেকের সিদ্ধান্তে বলা হয়েছিল, অধিকৃত ভূমিতে একটি সুপরিকল্পিত, দৃষ্টিনন্দন ও আধুনিক মানসম্পন্ন ক্যাম্পাসের জন্য ভবনসমূহ ও অন্যান্য অবকাঠামো–সংবলিত একটি মাস্টারপ্ল্যান বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ তৈরি করবে। শিক্ষার্থী ও বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনাকালে যেসব চলমান নির্মাণ কাজ অসমাপ্ত রেখে ঠিকাদার চলে গিয়েছিল, সেগুলোর কাজ শেষ করতেও বলা হয়। দ্বিতীয় ক্যাম্পাস নির্মাণে শিক্ষার্থীদের দাবি অনুযায়ী বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর কাছে কাজটি দেওয়ার বিষয়ে কোনো অসুবিধা নেই বলে জানানো হয়। এসব কাজে বিলম্ব হচ্ছে কেন, তা শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও ইউজিসি খতিয়ে দেখবে বলে আশা করি।’
পরিকল্পনা উপদেষ্টা বলেন, ‘দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের একটি পূর্ণাঙ্গ প্রকল্প, অর্থাৎ মাস্টারপ্ল্যানের অধীনে নির্মাণ প্রকল্পের অংশবিশেষ যথাযথ প্রক্রিয়ায় উপস্থাপন করা হলে একনেকের দ্রুত অনুমোদন পাওয়া সম্ভব হবে। শিক্ষার্থীদের অন্যান্য দাবিদাওয়া নিয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও ইউজিসি ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে কাজ করছে। আশা করি, সব পক্ষের সহযোগিতায় সমস্যার দ্রুত সমাধান হবে। কারণ, ইতিমধ্যেই শিক্ষা কার্যক্রমের অনেক ক্ষতি হয়ে গেছে।’