আবারও পরিবর্তন এসেছে ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণির বইয়ে

দ্য রিপোর্ট ডেস্ক

জুলাই ৮, ২০২৩, ০৭:৩৬ পিএম

আবারও পরিবর্তন এসেছে ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণির বইয়ে

সংগৃহীত ছবি

আবারও পরিবর্তন আনা হয়েছে আগামী বছরের ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণির পাঠ্যবইয়ে। ‘ইতিহাস ও সামাজিক বিজ্ঞান’ বিষয়ে ‘অনুশীলন’ ও ‘অনুসন্ধানী পাঠ’ নামে দুটি বই দেওয়ার কথা থাকলেও সিদ্ধান্ত পাল্টেছে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি)। এখন থেকে একটি বই থাকবে এবং বিষয়বস্তুতেও আসছে ব্যাপক পরিবর্তন।

ভুলভ্রান্তি ও বিতর্কের মুখে শিক্ষাবর্ষ শুরুর ১ মাস ১০ দিন পর চলতি বছরের ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণির ‘ইতিহাস ও সামাজিক বিজ্ঞান অনুসন্ধানী পাঠ’ নামে দুটি পাঠ্যপুস্তক প্রত্যাহার করে নিয়েছিল এনসিটিবি। 

পরে শিক্ষাবর্ষ শুরুর চার মাসের মাথায় বানান ভুল থেকে তথ্যগত ভুল মিলিয়ে দুটি শ্রেণির বই থেকে অন্তত ৪৩১টি সংশোধনী বের করে দেয় সংস্থাটি। 

এ বিষয়ে এনসিটিবির সদস্য (শিক্ষাক্রম) অধ্যাপক মো. মশিউজ্জামান বলেন, সার্বিক দিক বিবেচনা করে আগামী বছরের ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণির পাঠ্যবইয়ে পরিবর্তন আনা হচ্ছে। ইতিমধ্যে পাঠ্যবই লেখার কাজও শেষ করা হয়েছে। এখন ছাপার বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন।

এনসিটিবির সূত্রমতে, চলতি বছরের ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণির ‘ইতিহাস ও সামাজিক বিজ্ঞান’ বিষয়ে প্রাচীন ইতিহাস ও সভ্যতার ওপর অনেক বেশি প্রাধান্য দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু এ নিয়ে বিতর্কের সৃষ্টি হয়। বিশেষ করে ইতিহাস ও সামাজিক বিজ্ঞানের ‘অনুসন্ধানী পাঠ’ বইয়ের ছবি ও বিষয়বস্তু নিয়ে বেশি বিতর্ক হয়। পরে দুই শ্রেণির এই দুটি বই প্রত্যাহার করে নেয় এনসিটিবি। ‘অনুসন্ধানী পাঠ’ বইটি ছিল মূলত ‘রিসোর্স বই’।

ইতিহাস ও সামাজিক বিজ্ঞান বিষয়ে শুধু ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণি নয়, অষ্টম ও নবম শ্রেণির জন্যও ‘অনুশীলন’ ও ‘অনুসন্ধানী পাঠ’ নামে দুটি পাঠ্যপুস্তক থাকার কথা ছিল। কিন্তু এখন সব শ্রেণিতেই এই বিষয়ে একটি বই থাকবে। এখন শুধু বিজ্ঞান বিষয়ে ‘অনুসন্ধানী পাঠ’ ও ‘অনুশীলন বই’ নামে দুটি পাঠ্যপুস্তক থাকবে।

অন্যান্য বিষয়েও ছবিসহ বিষয়বস্তুতেও কিছু কিছু পরিবর্তন আনা হচ্ছে বলে জানায় এনসিটিবি।

ছবি পরিবর্তন প্রসঙ্গে এনসিটিবির এক কর্মকর্তা জানান, ছবিগুলো অংশগ্রহণমূলক করে সব শ্রেণির প্রতিনিধিত্ব রাখার চেষ্টা করা হয়েছে। এ ক্ষেত্রে মাদ্রাসার শিক্ষার্থীদের বিষয়টিকে গুরুত্বের সাথে বিবেচনা করা হয়েছে। কারণ, নতুন শিক্ষাক্রমের বই সাধারণ ধারার পাশাপাশি মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরাও পড়বে।

এনসিটিবি সূত্রে জানা গেছে, এই দুই শ্রেণির বই লেখার কাজও শেষ করা হয়েছে। এখন ইংরেজি ভার্সনের লেখার (অনুবাদ) কাজ চলছে।

Link copied!