মালয়েশিয়ার জহুর রাজ্যের একটি পাম বাগানে অভিযান চালিয়ে ৫৫ বাংলাদেশিকে আটক করেছে দেশটির ইমিগ্রেশন পুলিশ।
এ ছাড়াও, মিয়ানমারের ৬২, ভারতের ২৮, ইন্দোনেশিয়ার ৩১ (২৬ পুরুষ ও ৫ নারী), পাকিস্তানের ১৬, চীনের ২ এবং পূর্ব তিমুরের এক নাগরিকসহ মোট ১৯৫ জনকে আটক করেছে জহুর ইমিগ্রেশন পুলিশ।
ইমিগ্রেশন পুলিশ জানায়, বৈধ কাগজপত্র না থাকায় তাদের আটক করা হয়েছে।
শনিবার জহুর ইমিগ্রেশনের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে জানানো হয়, রাজ্যের জহুর বারু জেলার গেলাং পাতার পাম বাগানের দুটি পৃথক স্থানে শুক্রবার দিবাগত রাত ১২টা থেকে ভোর ৬টা পর্যন্ত অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করে ইমিগ্রেশন পুলিশ।
অভিযানে ৬৪১ জনকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ ও ভিসা (কাগজপত্র) যাচাই-বাছাই করা হয়। এদের মধ্যে ১৯৫ জনের কাছে বৈধ কাগজপত্র না থাকায় তাদের আটক করা হয়।
আটককৃতদের বয়স ১৯ থেকে ৬৯ বছরের মধ্যে। এদের মধ্যে ইউএনএইচসিআর`র শরণার্থী কার্ডধারীও রয়েছেন বলে জানিয়েছেন জহুর ইমিগ্রেশন বিভাগের পরিচালক বাহারউদ্দিন তাহির।
তিনি এক বিবৃতিতে বলেন, `অবৈধ অভিবাসীরা ইমিগ্রেশন পুলিশের কাছ থেকে বাঁচতে গেলাং জহুর বারুর গেলাং পাতার মেইন রোড থেকে অনেক ভেতরে ১৫টি কন্টেইনারে দীর্ঘদিন ধরে বসবাস করে আসছিলেন। এই তথ্য পাওয়ার পর সেখানে অভিযান চালানো হয়।`
বাহারউদ্দিন তাহির আরও বলেন, `মালয়েশিয়ায় কাজের পারমিটের অপব্যবহার, অতিরিক্ত অবস্থান ও বিভিন্ন অপরাধের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে তাদের আটক করা হয়। পরবর্তী তদন্তের জন্য তাদের জহুর বারুর সেতিয়া ট্রপিকা ইমিগ্রেশন ডিপোতে রাখা হয়েছে।`
যারা অবৈধ অভিবাসীদের চাকরি অথবা নিয়োগ দেবে সেসব নিয়োগকর্তার বিরুদ্ধেও কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে জানিয়ে যোগ্যতাসম্পন্ন অবৈধ অভিবাসীদের ডিসেম্বরের মধ্যে চলমান আরটিকে ২.০ প্রোগ্রামে দ্রুত রেজিস্ট্রেশন করে নিতে নিয়োগকর্তাদের আহ্বান জানান জহুর ইমিগ্রেশন বিভাগের পরিচালক।