পর্তুগাল দূতাবাসে “স্বপ্নের পদ্মা সেতু উদ্বোধনের" আনন্দমুখর উদযাপন

দ্য রিপোর্ট ডেস্ক

জুন ২৭, ২০২২, ০১:২২ এএম

পর্তুগাল দূতাবাসে “স্বপ্নের পদ্মা সেতু উদ্বোধনের

পদ্মা সেতু উদ্বোধনের আনন্দ উদযাপন করেছে বাংলাদেশ দূতাবাস, লিসবন। বাংলাদেশের ঐতিহাসিক এই মুহূর্তটি উদযাপন উপলক্ষ্যে লিসবনের দূতাবাস প্রাঙ্গণে আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।

অনুষ্ঠানের শুরুতে পদ্মা সেতু উদ্বোধন উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি এবং প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া বাণী পাঠ করা হয়। এরপর একটি উন্মুক্ত আলোচনা সভা হয়। অনুষ্ঠানে বক্তারা পদ্মা সেতু নির্মাণে প্রধানমন্ত্রীর দূরদর্শিতা এবং অর্জন নিয়ে কথা বলেন। একই সাথে বক্তারা বাংলাদেশের সামগ্রিক উন্নতিতে পদ্মা সেতুর গুরুত্ব ও তাৎপর্যও তুলে ধরেন।

Portugal 3

রাষ্ট্রদূত তারিক আহসান তাঁর বক্তব্যে, পদ্মা নদীর পানি প্রবাহের দিক দিয়ে পৃথিবীর দ্বিতীয় বৃহত্তম নদী পাদ্মার ওপর সেতু নির্মাণের দুঃসাধ্যতা তুলে ধরেন। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাঁর প্রথম মেয়াদের শেষপ্রান্তে ২০০১ সনে পদ্মা সেতুর ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করেন। বিভিন্ন প্রতিকূলতার পরও তাঁর দ্বিতীয় মেয়াদে ২০১২ সনে তিনি বাংলাদেশের নিজ অর্থায়নে এই সেতু নির্মাণের ঐতিহাসিক ঘোষণা দেন। বাংলাদেশের প্রথিতযশা পুর-কৌশলীগণ সহ বিভিন্ন দেশের বিশেষজ্ঞদের কারিগরি তত্ত্বাবধানে ২০১৫ সনে টেন্ডারের মাধ্যমে নির্বাচিত চীনা নির্মাণ প্রতিষ্ঠান কর্তৃক পাইলিং স্থাপনের মাধ্যমে পদ্মা সেতুর প্রথম বাস্তব নির্মাণকাজ শুরু হয়। সাত বছর পর এই সেতুর কাজ সফল সমাপ্তিতে তাই দেশবাসী আনন্দে উচ্ছ্বসিত।

দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থিত দেশের এক তৃতীয়াংশ এলাকা রাজধানী ঢাকার সাথে সড়ক পথে যুক্ত হবার কথা উল্লেখ ক’রে তারিক আহসান আরও বলেন, পদ্মাসেতুর উদ্বোধন বাংলাদেশের সামগ্রিক অর্থনীতিতে এক নতুন মাত্রাই শুধু যোগ করেনি, পাশাপাশি মানুষের জীবনমান উন্নয়নেও এক বড় ভূমিকা রাখবে।

রাষ্ট্রদূত বলেন, বিদেশী অর্থায়ন ছাড়া এই কঠিন প্রকল্পটির সফল সমাপ্তি বাংলাদেশের জনগণকে রুপকল্প ২০৪১ অনুসারে ২০৪১ সনের মধ্য একটি উন্নত, সমৃদ্ধ দেশ গড়ার কাজে আত্মবিশ্বাস যোগাচ্ছে। সেই সাথে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাহসিকতা আর সংকল্পের দৃঢ়তার জন্য বাংলাদেশ তার ৫১ বছরের ইতিহাসের এই অন্যতম প্রধান সাফল্য অর্জন করল আর জনগণ তার দীর্ঘ-লালিত স্বপ্ন পূরণ করল। 

আলোচনা সভা শেষে পদ্মা সেতু উদ্বোধন উপলক্ষ্যে নির্মিত প্রতিপাদ্য সংগীত এবং বিশেষ প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়। এর পর দেশ ও জাতির মঙ্গল কামনায় বিশেষ দোয়া ও প্রার্থনা করা হয়।

Link copied!