আগামী মাস থেকে ভারতের সেরাম ইন্সটিটিউটে তৈরি অক্সফোর্ড অ্যাস্ট্রেজেনেকার বাকি টিকার চালন আসতে শুরু করবে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান।
মঙ্গলবার (২৩ নভেম্বর) রাজধানীর ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) ‘মিট দ্য রিপোর্টার্স’ অনুষ্ঠানে তিনি এ তথ্য জানান।
ডিআরইউ’র সভাপতি মুরসালিন নোমানীর সভাপতিত্বে ও সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক মসিউর রহমান খানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে সালমান এফ রহমান বলেন, “আগামী মাস থেকে ভারত থেকে আবার টিকা আসা শুরু করবে। আগামী বছরের প্রথম প্রান্তিকের মধ্যে ভারত থেকে সব টিকা চলে আসবে।”
চীনের একটি কোম্পানির সঙ্গে দেশিয় কোম্পানি ইনসেপ্টা আলোচনা করছে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা বলেন, “তাদের সঙ্গে টার্ম ও কন্ডিশন চূড়ান্ত হলে ইনসেপ্টা উৎপাদন শুরু করতে পারবে। বেক্সিমকোও টিকা উৎপাদনের কার্যক্রম শুরু করেছে। আশা করছি, আগামী চার থেকে ছয় মাসের মধ্যে আমরা টিকা উৎপাদনের কার্যক্রম শেষ করতে পারবো।”
জ্বালানি তেলের মূল্য বাড়ানোর বিষয়ে সালমান এফ রহমান বলেন, “আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানি তেলের মূল্য বাড়ছে তাই দেশে বাজারে তেলের মূল্য বাড়ানো হয়েছে, সরকার আর কত ভর্তুকি দেবে?” বিশ্ব পরিস্থিতির বিবেচনায় বিশ্ব বাজারে জ্বালানি তেলের মূল্য কমে আসলে আস্তে আস্তে দেশেও এর প্রভাব পড়বে বলে তিনি মনে করেন।
প্রসঙ্গত, অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার তৈরি করোনাভাইরাসের টিকা পুনের প্ল্যান্টে উৎপাদন করে কোভিশিল্ড নামে বাজারজাত করছে বিশ্বের সবচেয়ে বড় টিকা উৎপাদনকারী ভারতীয় কোম্পানি সেরাম ইনস্টিটিউট।
গত বছরের নভেম্বরে এ কোম্পানি থেকে তিন কোটি ডোজ টিকা কিনতে ত্রিপক্ষীয় চুক্তি করে বাংলাদেশ। এরপর জানুয়ারিতে ৬০০ কোটি টাকার বেশি অগ্রিম হিসেবে দেয় সরকার, যা টিকার মোট দামের অর্ধেক।
ত্রিপক্ষীয় চুক্তি অনুযায়ী, প্রতি মাসে ৫০ লাখ ডোজ টিকা আসার কথা ছিল বাংলাদেশে। গত ২৫ জানুয়ারি প্রথম চালানে ৫০ লাখ ডোজ এবং ২৩ ফেব্রুয়ারি দ্বিতীয় চালানে ২০ লাখ ডোজ টিকা দেশে আসে।পাশাপাশি ভারত সরকারের উপহার হিসেবে ২১ জানুয়ারি আরও ২০ লাখ ডোজ এবং ২৬ মার্চ ১২ লাখ ডোজ কোভিশিল্ড পায় বাংলাদেশ। গত ৯ অক্টোবর ভারত থেকে দেশে পৌঁছায় আরও ১০ লাখ ডোজ টিকা।
চুক্তি অনযায়ি দুই কোটি ২০ লাখ টিকা এখনও আটকে আছে। এই টিকাগুলোই ডিসেম্বরে আসতে শুরু করবে।ভারতে করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউ মহামারী আকার ধারণ করলে নরেন্দ্র মোদি সরকার সরকার চলতি বছরের এপ্রিলে টিকা রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা দেয়। এমতাবস্থায় বেশ অসুবিধার মধ্যে বাংলাদেশ। টিকার সরবরাহ না থাকায় গত ২৫ এপ্রিল প্রথম ডোজ টিকা দেওয়া বন্ধ করে দেয় সরকার। এক পর্যায়ে দ্বিতীয় ডোজ দেওয়াও বন্ধ হয়ে যায়।