টাক নিয়ে রসিকতা যৌনহয়রানির মতো অপরাধ: আদালত

দ্য রিপোর্ট ডেস্ক

মে ১৪, ২০২২, ০৬:১৭ পিএম

টাক নিয়ে রসিকতা যৌনহয়রানির মতো অপরাধ: আদালত

পুরুষদের টাক মাথা নিয়ে অনেকেই রসিকতা করেন। প্রায়ই টাক মাথা নিয়ে ঠাট্টার শিকার হতে হয় অনেকের। তবে কারো সঙ্গে টাক নিয়ে রসিকতা করা যৌন হয়রানির মতো অপরাধ বলে মন্তব্য করেছেন যুক্তরাজ্যের এক আদালত।

স্থানীয় সময় শুক্রবার ব্রিটেনের একটি আদালতের দেওয়া রায়ে যুক্তরাজ্যের কর্মচারী নিয়োগ ট্রাইব্যুনাল বলেন, কাউকে টাক নিয়ে ঠাট্টা করা নারীর স্তন সম্পর্কে মন্তব্য করার সামিল। যা লিঙ্গ বৈষম্যের বহিঃপ্রকাশ।

ব্রিটিশ গণমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ানের প্রতিবেদনে বলা হয়,  সম্প্রতি টনি ফিন নামে এক ব্যক্তি সাবেক কর্মস্থলে যৌন হয়রানির অভিযোগ এনে মামলা করেছেন। মামলার এজাহারে ‘টেকো’ বলে তাকে যৌন হয়রানি করার অভিযোগ আনা হয়েছে। পশ্চিম ইয়র্কশায়ারের ব্রিটিশ বুং কোম্পানিতে দীর্ঘ ২৪ বছর কাজ করেছেন টনি। ২০২১ সালের মে মাসে তাকে ছাঁটাই করা হয়। এরপর আদালতে মামলা করেন তিনি।

টনি ফিনের অভিযোগ, ২০১৯ সালে কর্মক্ষেত্রে তকাতর্কির সময় তাকে একাধিকবার ‘টেকো’ বলে ডেকেছিলেন ওই কারখানার সুপারভাইজার জেমি কিং। এতে অপমানিত বোধ করেন টনি। পরে আদালতের দ্বারস্থ হন।

আদালতের রায়ে বিচারকরা বলেন, টনি ফিনের মর্যাদা লঙ্ঘন ও তার জন্য একটি ভীতিকর, প্রতিকূল, অপমানজনক বা আপত্তিকর পরিবেশ তৈরির উদ্দেশ্যে ওই শব্দগুলো উচ্চারণ করেছিলেন জেমি কিং। তিনি স্বীকার করেছেন, তার উদ্দেশ্য ছিল টনিকে হুমকি দেওয়া ও তাকে অপমান করা। আমাদের বিচারে ‘টেকো’ শব্দের সঙ্গে লিঙ্গবৈশিষ্ট্যের সম্পর্ক রয়েছে।

বিচারকরা বলেন, নারীরাও টাক হতে পারেন, কোম্পানির আইনজীবী ঠিক বলেছেন। তবে নারীদের তুলনায় পুরুষদের মধ্যে টাক পড়ার হার অনেক বেশি। তাই আমরা মনে করি, এটি লিঙ্গবৈশিষ্ট্যের সঙ্গে সম্পর্কিত।

এসময় নারীর স্তনের আকার নিয়ে মন্তব্যের মাধ্যমে যৌন হয়রানির অভিযোগ ওঠা আগের একটি মামলার প্রসঙ্গও টেনে আনেন বিচারকরা। তাদের মতে, পুরুষদের টাক সমস্যা আর নারীদের স্তনের আকার নিয়ে কটূক্তি করা একই ধরনের অপরাধ। শুনানিতে টনিকে ‘টেকো’ ডাকায় মামলার বিবাদী জেমি কিংকে দোষী সাব্যস্ত করা হলেও তার সাজা ঘোষণা করেনি আদালত।  সাজার বিষয়ে পরে সিদ্ধান্ত হবে বলে জানিয়েছেন আদালত।

Link copied!