মিয়ানমারে সেনাঅভ্যুত্থানের পর আত্মগোপন করা রাজনীতিবিদরা নতুন সরকার গঠনের ঘোষণা দিয়েছেন। তারা আরও জানান, সামরিক কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে তাদের সংগ্রাম চলবে। নিজেদেও তারা মিয়ানমারের বৈধ সরকার বলেও দাবি করেছেন।
এনএলডির যে এমপিরা গ্রেফতার এড়াতে পেরেছেন, তারা পালিয়ে নতুন একটি গ্রুপ তৈরি করেছেন, যার নাম কমিটি ফর রিপ্রেজেন্টিং পাইডুংসু হলত্তু (সিআরপিএইচ), যার ভারপ্রাপ্ত প্রধান হিসাবে দায়িত্ব পেয়েছেন মাহন উইন খিয়াং থান। মিয়ানমারের বৈধ সরকার হিসেবে আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি দাবি করছে সিআরপিএইচ।
আত্মগোপনে থাকা রাজনীতিকদের নিয়ে গঠিত কমিটির প্রধান মাহন উইন খিয়াং থান বলেছেন, ‘এটা জাতির জন্য সবচেয়ে অন্ধকারাচ্ছন্ন মুহূর্ত। তবে খুব তাড়াতাড়ি আলোর দেখা পাওয়া যাবে।’ একদল সংসদ সদস্যকে নিয়ে লুকিয়ে রয়েছেন খিয়াং থান, যারা গত মাসের অভ্যুত্থান মেনে নেননি।
এক ফেসবুক বার্তায় মাহন উইন খিয়াং থান বলেছেন, ‘এটা এমন একটা সময় যখন অন্ধকারের বিরুদ্ধে আমাদের নাগরিকদের লড়াই করার ক্ষমতার পরীক্ষা হচ্ছে। অতীতে আমাদের মধ্যে বিভেদ থাকলেও এখন অবশ্যই আমাদের হাতে হাত ধরে সামরিক শাসনের বিরুদ্ধে লড়াই করতে হবে।’
সিআরপিএইচকে একটি অবৈধ গ্রুপ বলে মনে করে সামরিক বাহিনী। তারা সতর্ক করে দিয়েছে, এই কমিটিকে যারা সহায়তা করবে, তাদের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগ আনা হবে। মিয়ানমারে গত নভেম্বরের নির্বাচনে কারচুপি হয়েছে বলে সামরিক বাহিনী দাবি করলেও তা নিয়ে আন্তর্জাতিক মহলের দ্বিমত রয়েছে। পর্যবেক্ষকদের মতে, ওই নির্বাচনে কোন কারচুপি হয়নি।
গত সপ্তাহেই অং সান সু চির বিরুদ্ধে অবৈধভাবে ছয় লাখ ডলার আর ১১ কেজি স্বর্ণ গ্রহণের অভিযোগ এনেছে সামরিক বাহিনী। যদিও এর পক্ষে এখনো কোন প্রমাণ হাজির করা হয়নি। এই অভিযোগ নাকচ করে দিয়েছে এনএলডি আইন প্রণেতারা।
এদিকে মিয়ানমারে সেনাশাসনবিরোধী বিক্ষোভে পুলিশের গুলিতে অন্তত আরও ১২ জন নিহত হয়েছেন।
সূত্র: বিবিসি,রয়টার্স।