পশ্চিমবঙ্গের উত্তর ২৪ পরগনা জেলায় অবৈধ বাজি কারখানায় ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। এতে ঘটনাস্থলে কমপক্ষে ৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন ১০ জনেরও বেশি। বাড়তে পারে মৃতের সংখ্যা।
রবিবার স্থানীয় সময় সকাল ১০টার দিকে জেলার দত্তপুকুরের নীলগঞ্জ এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ঘটনাস্থলে তিনটি পরিবার বসবাস করত। দুর্ঘটনার পর অনেকেই নিখোঁজ। ধ্বংসস্তূপের নিচেও কেউ আহত অবস্থায় আটকে থাকতে পারে বলে মনে করছে স্থানীয় পুলিশ। গুরুতর আহতদের নিকটবর্তী বারাসাত মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে৷
বারাসাত জেলা পুলিশ ও কমব্যাট ফোর্স ঘটনাস্থলে দমকল বাহিনীর কর্মীদের সাথে উদ্ধারকার্য চালাচ্ছে।
স্থানীয়রা জানান, রবিবার সকাল ১০টা ভয়াবহ বিস্ফোরণের শব্দ শুনতে পান বারাসতের নীলগঞ্জ এলাকার বাসিন্দারা। এলাকার খুদে নামের এক বাজি ব্যবসায়ীর কারখানায় এই বিস্ফোরণ হয়। উড়ে যায় কারখানার বাড়ির ছাদ। চতুর্দিকে ছড়িয়ে যায় বারুদসহ বাজি বানানোর অন্যান্য সরঞ্জাম। ঘটনাস্থল থেকে প্রায় ১ কিলোমিটার দূরেও শোনা গিয়েছিল এই বিস্ফোরণের শব্দ। বিস্ফোরণের জেরে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে আশপাশের অন্তত ১০০ বাড়ি।
বিস্ফোরণের তীব্রতা এতবেশিই ছিল যে, ৫০ থেকে ১০০ মিটার দূরে ছিটকে পড়েছে মানুষের দেহ। একটি মৃতদেহ উড়ে গিয়ে পাশের দোতলা বাড়ির চিলেকোঠায় পড়ে। বিস্ফোরণস্থল থেকে কয়েক মিটার দূরে ছড়িয়ে ছিটিয়ে যায় ছিন্নভিন্ন রক্তাক্ত দেহ। উদ্ধার করা হয়েছে ছিন্নভিন্ন হাত-পাসহ অন্যান্য দেহাংশ।
বহু দিন ধরে অবৈধভাবে এই বাজি কারখানা চলছিল। এ ব্যাপারে প্রশাসন কোনো ব্যবস্থা নেয়নি বলে স্থানীয় বাসিন্দারা অভিযোগ করেন।
স্থানীয় দত্তপুকুর থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে গেলে গ্রামবাসী তাদের একাধিক গাড়ি ভাঙচুর করেছে। গ্রামবাসীর অভিযোগ, পুলিশের মদদেই চলছিল বেআইনি এই বাজি কারখানা।
এর আগে গত ১৬ মে পশ্চিমবঙ্গের পূর্ব মেদিনীপুর জেলার খাদিকুল গ্রামে অবৈধ বাজি কারখানায় ভয়াবহ বিস্ফোরণ ঘটে। মৃত্যু হয় অন্তত ৯ জনের।