প্রবল বৃষ্টিপাতের কারণে সৃষ্ট বন্যায় দক্ষিণ ইউরোপের তিন দেশে এখন পর্যন্ত ১১ জনের মৃত্যু হয়েছে। গ্রিস, বুলগেরিয়া ও তুরস্কের সীমান্তবর্তী অঞ্চলে এই বন্যার ঘটনা ঘটেছে। মৃতদের মধ্যে তুরস্কের আটজন, গ্রিসের একজন এবং দুজন বুলগেরিয়ার।
ফরাসি সংবাদমাধ্যম ফ্রান্স টোয়েন্টিফোরের এক প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
তুরস্কের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আলী ইয়েরলিকায়া জানিয়েছেন, বুলগেরিয়ার সীমান্তবর্তী কার্কলারেলি প্রদেশে বন্যার ঘটনায় ছয়জনের মৃত্যু হয়েছে। মারা যাওয়াদের মধ্যে দুজন পর্যটক রয়েছেন।
তিনি বলেছেন, বুলগেরিয়ার উজান থেকে নেমে আসা স্রোতে সব মিলিয়ে ছয়জনকে ভাসিয়ে নিয়ে যায়। এদের মধ্যে ছয়জন এখনো নিখোঁজ। দুজনের মরদেহ উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে।
এই বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে তুরস্কের সবচেয়ে বড় শহর ইস্তাম্বুলও। শহরের রাস্তাঘাটের পাশাপাশি বাড়িঘরও ডুবে গেছে। বন্যার কারণে একটি লাইব্রেরির ভেতরে আটকে পড়া ১২ জনকে উদ্ধার করা হয়। এর বাইরে শহরটির বেশ কয়েকটি সাবওয়ে স্টেশনও বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। প্রবল বন্যায় শহরটিতে দুজনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছে ইস্তাম্বুলের গভর্নরের কার্যালয়।
অন্যদিকে তুরস্কের সীমান্তবর্তী গ্রিসেও বন্যার কারণে একজনের মৃত্যু হয়েছে। দেশটির পার্বত্য অঞ্চল পিলিয়নের নিকটবর্তী ভলোস শহরে অন্তত একজনের মৃত্যু হয়েছে। শহরটির রাস্তাঘাট ডুবে যাওয়ায় সব ধরনের যান চলাচল বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। শহরের অগ্নিনির্বাপক বিভাগ জানিয়েছে, শহরে একজনের মৃত্যু হয়েছে এবং পাঁচজন নিখোঁজ হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
বুলগেরিয়ার প্রধানমন্ত্রী নিকোলাই দেনকভ জানিয়েছেন, দেশের দক্ষিণাঞ্চলের কৃষ্ণসাগরের তীরবর্তী একটি এলাকায় বন্যায় একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ ছাড়া তিনজন বন্যার পানিতে ভেসে গিয়ে নিখোঁজ রয়েছেন।
