‘নারী প্রেসিডেন্টের জন্য পুরোপুরি প্রস্তুত যুক্তরাষ্ট্র’

দ্য রিপোর্ট ডেস্ক

অক্টোবর ২৩, ২০২৪, ১১:১৮ এএম

‘নারী প্রেসিডেন্টের জন্য পুরোপুরি প্রস্তুত যুক্তরাষ্ট্র’

ছবি: সংগৃহীত

যুক্তরাষ্ট্র একজন নারী প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত করার জন্য পুরোপুরি প্রস্তুত বলে জানিয়েছেন  আসন্ন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ডেমোক্রেটিক দলীয় প্রাথী কমলা হ্যারিস।

মঙ্গলবার (২২ অক্টোবর) এনবিসিকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে এ কথা বলেন ভারতীয় বংশোদ্ভূত এই রাজনীতিক।

বিশ্বের সবচেয়ে পুরনো গণতান্ত্রিক দেশ যুক্তরাষ্ট্রের আড়াইশ’ বছরের ইতিহাসে কোনো নারী রাজনীতিক প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হননি। ২০১৬ সালে সম্ভাবনা জাগিয়েও শেষ পর্যন্ত ট্রাম্পের কাছে হেরে যান সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারি ক্লিন্টন।

কমলা হ্যারিসের মধ্যদিয়ে আরেকবার সেই সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। মার্কিন অনেক শীর্ষ নেতাই বলছেন, কমলাকে ভোট দেয়া উচিত। বিশেষ করে সাবেক প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা মার্কিন পুরুষ ভোটারদের কিছুটা কটাক্ষ করে তাদের দৃষ্টিভঙ্গি পাল্টাতে বলেছেন।

কমলার প্রচারেও এই বিষয়টি বিশেষভাবে নজরে আনা হচ্ছে। ফলে সবার মধ্যে একটাই কৌতূহল, কমলা কি যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে প্রথম নারী প্রেসিডেন্ট হতে যাচ্ছেন।

বহুল প্রতীক্ষিত মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আর মাত্র দুই সপ্তাহেরও কম সময় বাকি। প্রধান দুই প্রার্থী ডেমোক্র্যাট কমলা হ্যারিস ও রিপাবলিকান ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রচারে ব্যস্ত সময় পার করছেন। বিশেষ করে ‘সুইং স্টেটস’ হিসেবে পরিচিত রাজ্যগুলোতে চষে বেড়াচ্ছেন তারা।
 
আরও পড়ুন: এবার মুসলিম নেতাদের সঙ্গে কমলার প্রতিনিধিদলের বৈঠক

জাতীয়ভাবে পরিচালিত জরিপ বলছে, এবার সাত ‘সুইং স্টেটস‘-এ হ্যারিস ও ট্রাম্পের হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হবে। এমন অবস্থায় মঙ্গলবার এনবিসি নিউজকে সাক্ষাৎকারে কমলা হ্যারিস বলেন, ‘আমার প্রচারণাতে আসুন। আপনি দেখতে পাবেন সেখানে পুরুষ ও নারী সমানভাবে রয়েছেন।’

তিনি আরও বলেন, ‘বিশ্বে আমার যে অভিজ্ঞতা হচ্ছে তা হলো এটা স্পষ্ট যে কারও লিঙ্গ নির্বিশেষে তারা জানতে চায় তাদের খরচ কমানোর পরিকল্পনা প্রেসিডেন্টের রয়েছে। আমাদের অবস্থানের পরিপ্রেক্ষিতে আমেরিকাকে সুরক্ষিত রাখার পরিকল্পনা ও প্রেসিডেন্টের রয়েছে।’

হ্যারিস আরও বলেন, আমি মনে করি, আসন্ন মার্কিন নির্বাচন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কারণ এটা কেবল পরিবর্তনের জন্য নয়, বরং একটা নতুন যুগের অধ্যায় যাতে পরিষ্কারভাবে বুঝা যায় যে, আমেরিকানরা বিভক্ত নয়।’

নির্বাচিত হলে হ্যারিস হবেন যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে প্রথম নারী প্রেসিডেন্ট এবং বারাক ওবামার পর দ্বিতীয় কৃষ্ণাঙ্গ প্রেসিডেন্ট। সাক্ষাৎকারে হ্যারিসকে জিজ্ঞেস করা হয়, কেন তিনি তার প্রার্থীতার ইতিহাস তৈরির সম্ভাবনা সম্পর্কে কথা বলছেন না।

এই প্রশ্নটি উড়িয়ে দিয়ে তিনি বলেন, ‘আচ্ছা, আমি স্পষ্টতই একজন নারী। বেশিরভাগ লোকই যে বিষয়টা নিয়ে সত্যিই আগ্রহী তা হল- আপনি কি কাজটি করতে পারেন এবং আপনার কি আসলেই সেগুলোতে ফোকাস আছে?’

তিনি বলেন, ‘আমার চ্যালেঞ্জ হল আমি যতটা সম্ভব ভোটারের সাথে কথা বলতে ও শুনতে এবং তাদের ভোট পেতে পারি তা নিশ্চিত করা। আমি কখনোই ধরে নেব না যে আমাদের দেশে কেউ তাদের লিঙ্গ বা তাদের বর্ণের ভিত্তিতে একজন নেতা নির্বাচন করবে, পরিবর্তে সেই নেতাকে পদার্থের ভিত্তিতে ভোট অর্জন করতে হবে এবং চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করতে ও জনগণকে অনুপ্রাণিত করতে তারা কি করবে।’

Link copied!