নভেম্বর ১০, ২০২৩, ১১:২০ এএম
পোকা-মাকড়ের মধ্যে সবচেয়ে খারাপ হচ্ছে ছারপোকা। ছারপোকার জ্বালায় অতিষ্ঠ হয়নি, এমন মানুষ পাওয়া বেশ দুষ্কর। গ্রামে কিংবা শহরে সব জায়গায় দেখা মিলবে রক্তচোষা এই ছোট্ট পোকাটির।
সম্প্রতি দক্ষিণ কোরিয়ায় এই পোকার উৎপাত এমন ভয়াবহভাবে বেড়েছে যে রীতিমতো এর বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেছে সরকার। দেশের বাথহাউস, বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রাবাস, রেলস্টেশনের মতো জায়গায় উচ্চসতর্কতা জারি করা হয়েছে।
সিএনএনের খবরে বলা হয়েছে, দক্ষিণ কোরিয়ায় অক্টোবরের শেষ থেকে ছারপোকাজনিত সংক্রমণ নিয়ে ৩০ জনের মতো মানুষ হাসপাতালে এসেছেন। যদিও ক’দিন আগেও দেশটিতে ছাড়পোকার নাম গন্ধ পর্যন্ত ছিল না। সবশেষ ছারপোকা দমন অভিযানের পর থেকে রক্তখেকো এই পোকার উৎপাত থেকে মুক্তই ছিলেন কোরিয়াবাসী।
কোরিয়া ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন জানিয়েছে, ২০১৪ সালের পর তাদের দেশে মাত্র ৯ জন মানুষ ছারপোকাজনিত সংক্রমণে আক্রান্ত হয়েছিলেন। তবে শুধু অক্টোবরের শেষ থেকে ছারপোকাজনিত সংক্রমণ নিয়ে ৩০ জনের মতো মানুষ হাসপাতালে এসেছেন। এ কারণে ছারপোকা দমনে চার সপ্তাহের অভিযানে নেমেছে কর্মকর্তারা।
এর আগে ফ্রান্স, যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্রে এই ধরনের ছারপোকার প্রাদুর্ভাব ভয়াবহভাবে ছড়িয়ে পড়ে। এমনকি প্যারিস অলিম্পিক উপলক্ষে আগত অতিথিদের এই পোকার উৎপাত থেকে মুক্ত রাখতে সব আয়োজনের মধ্যেই ছারপোকা দমনে নামতে হয়েছে ফরাসি সরকারকে। ফ্রান্স, যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্রের পর এবার এই পোকার প্রাদুর্ভাব এশিয়ার দেশ দক্ষিণ কোরিয়ায় ছড়াল।
অনেক বছর এই পোকার উৎপাত থেকে মুক্ত কোরিয়াবাসী সাম্প্রতিক এই প্রাদুর্ভাবে উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছেন। প্রতিনিয়ত ছারপোকার ছবি শেয়ার করে সামাজিক মাধ্যম ভাসিয়ে ফেলছেন তারা। কীভাবে ছারপোকার হাত থেকে বাঁচতে পারবেন সে বিষয়ে চাইছেন পরামর্শ।
সামাজিক মাধ্যমে এক কোরিয়ান ব্যবহারকারী লিখেছেন, ‘যদি আমি ছারপোকা দেখতে পাই তাহলে কি ঘরের সব ইলেকট্রনিকস যন্ত্রপাতি ছুড়ে মারব?’ আরেকজন লিখেছেন, ‘যদি বেডের চার পাশে টেপ মেরে রাখি, তাহলে কি ছারপোকা আসা বন্ধ হবে?’
আগামী মঙ্গলবার দক্ষিণ কোরিয়ার ১৭টি মেট্রোপলিটন শহর, প্রাদেশিক সরকার এবং সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ছারপোকা সংকট নিয়ে বৈঠকের পর এক সাংবাদিক সম্মেলনে পরবর্তী করণীয় সম্পর্কে বিস্তারিত জানানো হবে।