জুন ৯, ২০২৫, ১১:৩৭ এএম
গাজা অভিমুখে যাত্রারত ত্রাণবাহী জাহাজ ম্যাডলিন দখল করেছে ইসরায়েলি বাহিনী। সুইডিশ জলবায়ু আন্দোলনকর্মী গ্রেটা থুনবার্গ-সহ ১২ জন মানবাধিকারকর্মী থাকা এই জাহাজটিকে বর্তমানে ইসরায়েলি উপকূলের দিকে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছে দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্স-এ এক পোস্টে তারা বিষয়টি নিশ্চিত করে।
কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরা জানায়, ম্যাডলিন জাহাজে থাকা মানবাধিকারকর্মীদের বিরুদ্ধে ইসরায়েলি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় গণমাধ্যমকে "ইসরায়েলের বিরুদ্ধে উসকানি" দেওয়ার অভিযোগ তুলেছে।
জাহাজে থাকা যাত্রীরা বহির্বিশ্বের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হওয়ার আগে জানান, রোববার রাত ১টার কিছু পর চারটি স্পিডবোট তাদের দিকে এগিয়ে আসে। এরপর আকাশপথে দুটো ড্রোন এসে জাহাজের ওপর একটি সাদা রাসায়নিক জাতীয় পদার্থ স্প্রে করে, যা তারা চিনতে পারেননি।
সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া একটি ভিডিওতে দেখা যায়—গ্রেটা থুনবার্গসহ জাহাজে থাকা সবাই লাইফ জ্যাকেট পরে হাত তুলে বসে আছেন। এ সময় ইসরায়েলি সেনারা তাদের মুঠোফোনগুলো সাগরে ছুঁড়ে ফেলার নির্দেশ দেন এবং কর্মীরা সেই নির্দেশ পালন করেন। ভিডিওটির পর থেকে জাহাজ থেকে আর কোনো যোগাযোগ পাওয়া যায়নি।
পরবর্তীতে ইসরায়েলি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, জাহাজটি আশদোদ বন্দরে নেওয়া হচ্ছে।
এই ঘটনার আগে, জাহাজেই পূর্বে ধারণ করা এক ভিডিও বার্তায় গ্রেটা থুনবার্গ বলেন,
“আমার নাম গ্রেটা থুনবার্গ, আমি সুইডেন থেকে এসেছি। যদি আপনারা এই ভিডিওটি দেখেন, তবে বুঝবেন আমরা এখন আন্তর্জাতিক জলসীমায় ইসরায়েলি দখলদার বাহিনী বা তাদের সমর্থক বাহিনীর হাতে অপহৃত হয়েছি।”
তিনি সুইডিশ সরকারের প্রতি আহ্বান জানান, যেন তাদের মুক্তির জন্য ইসরায়েলের ওপর আন্তর্জাতিক চাপ প্রয়োগ করা হয়।
একইভাবে ব্রাজিলের মানবাধিকারকর্মী থিয়াগো অ্যাভিলা একটি ভিডিও বার্তায় বলেন,
“এই ভিডিওটি যদি আপনি দেখেন, তাহলে বুঝবেন আমি এখন ইসরায়েল বা তাদের সহযোগী কোনো বাহিনীর হাতে বন্দী।”
তিনি নিজ দেশের সরকার এবং অন্যান্য রাষ্ট্রের প্রতি আহ্বান জানান, যেন তারা এই জাহাজে থাকা কর্মীদের মুক্তির ব্যবস্থা করে এবং গাজায় চলমান বর্বরতা বন্ধে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে কার্যকর অবস্থান নেয়।