ইসরায়েলের ওপর নিষেধাজ্ঞা এলে প্রত্যাখ্যানের ঘোষণা নেতানিয়াহুর

ছবি: সংগৃহীত

ইসরায়েলের সামরিক বাহিনীর ওপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞা এলে তা প্রত্যাখ্যান করবেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী বেনেইয়ামিন নেতানিয়াহু।

রোববার (২২ এপ্রিল) ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘সর্বশক্তি দিয়ে আমি লড়াই করবো।’

বিবিসির খবরে বলা হয়েছে, বেনইয়ামিন নেতানিয়াহু ইসরায়েলের সেনাবাহিনীর ওপর যেকোনো নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাখ্যানের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। দেশটির সেনাবাহিনীর একটি ইউনিটে সহায়তা কমানোর পরিকল্পনা করছে বলে চাউর হয়েছে। এর পর পরই বাইডেন প্রশাসনের বিরুদ্ধে এমন হুঁশিয়ারি দিলেন নেতানিয়াহু।

এদিকে তিনটি মার্কিন সূত্রের উদ্ধৃতি দিয়ে মার্কিন সংবাদমাধ্যম অ্যাক্সিওসের খবরে বলা হয়, অধিকৃত পশ্চিম তীরে মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগে ইসরায়েলের সেনাবাহিনীর নেতজাহ এহুদা ব্যাটালিয়নের বিরুদ্ধে দুই-একদিনের মধ্যেই নিষেধাজ্ঞা আরোপ করতে পারে।

এর আগে অধিকৃত পশ্চিম তীরে ক্রমাগত হামলার অভিযোগের বিষয়টি নিয়ে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেনকে প্রশ্ন করা হলে জবাবে তিনি বলেন, ‘এ বিষয়ে আমি সিদ্ধান্ত নিয়েছি। সামনের দিনগুলোতে আপনার সেসব সিদ্ধান্তের বাস্তবায়ন দেখতে পাবেন।’

এবার যদি ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনীর (আইডিএফ) ওপর নিষেধাজ্ঞা আসে, তবে এটাই হবে প্রথমবারের মতো কোনো ইউনিটকে দেওয়া নিষেধাজ্ঞা। কারণ এর আগে আইডিএফের কোনো ইউনিটের ওপর নিষেধাজ্ঞা দেয়নি যুক্তরাষ্ট্র।

এদিকে ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী বলছে, ‘আন্তর্জাতিক আইন মেনেই’ কাজ করছে নেতজাহ ইয়েহুদা। তাদের ভাষ্য, ‘ব্যাটালিয়নের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে এই রিপোর্টের পরও আইডিএফ বিষয়টি সম্পর্কে অবগত নয়। আইডিএফ কাজ করছে এবং আইন অনুযায়ী কোনো অস্বাভাবিক ঘটনা তদন্ত করতে কাজ করে যাবে।’

নেতজাহ ইয়েহুদার ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্ট। তিনি বলেন, ‘বিশ্ব যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলের মধ্যে সম্পর্ক আগের চেয়ে আরও ঘনিষ্ঠভাবে দেখছে।’

উল্লেখ্য, ‘নেতজাহ ইয়েহুদা’ নামের এই ইউনিটটি ফিলিস্তিনের দখলকৃত পশ্চিম তীরে মোতায়েন রয়েছে। পশ্চিম তীরে মানবাধিকার লঙ্ঘনের বহু অভিযোগ রয়েছে এই বাহিনীর বিরুদ্ধে।

সূত্র: বিবিসি