উত্তরপ্রদেশে ধর্ষণ ও হত্যার ৯ দিনের মাথায় মিলল নার্সের লাশ

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

আগস্ট ১৬, ২০২৪, ১১:৫৫ এএম

উত্তরপ্রদেশে ধর্ষণ ও হত্যার ৯ দিনের মাথায় মিলল নার্সের লাশ

ছবি: সংগৃহীত

ভারতের উত্তরপ্রদেশের একটি বেসরকারি হাসপাতাল থেকে কাজ শেষে বাড়ি ফেরার পথে এক নার্সকে ধর্ষণ ও হত্যা করা হয়েছে। মৃত্যুর ৯ দিন পর তার লাশ খুঁজে পাওয়া গেছে। খবর এনডিটিভির।

ধর্ষণের পর নিহত ওই নার্স উত্তরাখন্ডের একটি বেসরকারি হাসপাতালে চাকরি করতেন। উত্তরপ্রদেশের সীমান্তবর্তী এলাকায় ছিল তার বাসা।

গত ৩০ জুলাই সন্ধ্যায় হাসপাতাল থেকে বেরিয়ে একটিিই-রিকশায় ওঠেন তিনি। রুদ্রাপুরের ইন্দ্র চক থেকে পাওয়া সিসিটিভি ফুটেজে তাকে রিকশায় উঠতে দেখা গেলেও সেই রাতে তিনি বিলাসপুরের কাশীপুর সড়কস্থিত ভাড়া বাসায় পৌঁছাননি। সেখানে ওই নার্স তার ১১ বছর বয়সের মেয়ের সঙ্গে থাকতেন।

পরদিন নার্সের বোন থানায় নিখোঁজের একটি অভিযোগ দায়ের করেন। এর ঠিক ৯ দিনের মাথায় ৮ আগস্ট দিবদিবা গ্রামে নিজের বাসা থেকে দেড় কিলোমিটার দূরে একটি খালি প্লটে তার লাশ খুঁজে পায় উত্তরপ্রদেশ রাজ্য পুলিশ।

লাশের ময়নাতদন্ত করা হয় এবং অভিযুক্তকে খুঁজে বের করতে একটি দল গঠন করে পুলিশ। একপর্যায়ে ওই নার্সের চুরি হওয়া ফোনের অবস্থান শনাক্ত করে ধর্মেন্দ্র নামে একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তার হওয়া দিনমজুর ধর্মেন্দ্র উত্তর প্রদেশের বেরেলির বাসিন্দা। গত বুধবার তাকে রাজস্থান থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

পুলিশ জানায়, ঘটনার সময় ধর্মেন্দ্র মদ্যপ ছিলেন। ওই নার্সকে দেখার পর তাকে অনুসরণ করতে থাকেন তিনি। নিজের বাসার অ্যাপার্টমেন্টে প্রবেশের আগমুহূর্তে নার্সের ওপর হামলে পড়েন ধর্মেন্দ্র।

উধম সিং নগরের জ্যেষ্ঠ পুলিশ সুপার মঞ্জুনাথ টি সি বলেন, “ওই নার্সকে পাশের জঙ্গলে টেনে নিয়ে যান ধর্মেন্দ্র। ধর্ষণের পর নার্সের ওড়না দিয়েই তাকে শ্বাসরোধে হত্যা করেন। একই সময় ওই নার্সের হাতব্যাগে থাকা ৩ হাজার রুপিও চুরি করেন ধর্মেন্দ্র।”

পশ্চিমবঙ্গের কলকাতায় মেডিকেল শিক্ষার্থীকে ধর্ষণের পর হত্যার ঘটনায় ব্যাপক বিক্ষোভের মধ্যেই সামনে এলো এই ঘটনা।

Link copied!