দক্ষিণ কোরিয়ায় বিমান বিধ্বস্ত, নিহত বেড়ে ৯৬, জীবিত উদ্ধার ২

দ্য রিপোর্ট ডেস্ক

ডিসেম্বর ২৯, ২০২৪, ১১:৩১ এএম

দক্ষিণ কোরিয়ায় বিমান বিধ্বস্ত, নিহত বেড়ে ৯৬, জীবিত উদ্ধার ২

ছবি: সংগৃহীত

দক্ষিণ কোরিয়ার একটি বিমানবন্দরে ১৮১ জন যাত্রী ও ক্রু-সহ একটি বিমান বিধ্বস্ত হয়েছে। এতে এখন পর্যন্ত ৮৫ জন মারা গেছে বলে বার্তা সংস্থা ইয়োনহাপ জানিয়েছে।

দেশটির দক্ষিণ পশ্চিমাঞ্চলীয় অঞ্চলে মুয়ান আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের রানওয়ে থেকে ছিটকে গিয়ে পাশের দেয়ালের সাথে সংঘর্ষ হয় বিমানটির। এসময় বিমানটিতে মোট ১৭৫ জন যাত্রী ও ছয় জন ক্রু ছিলো। যাত্রীদের মধ্যে ১৭৩ জন দক্ষিণ কোরিয়ার আর দুজন থাই নাগরিক।

জেজু এয়ারের বিমানটি থাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাংকক থেকে ফেরত গিয়ে বিমানবন্দরে অবতরণের সময় দুর্ঘটনায় পতিত হয়।

ইয়োনহাপ জানিয়েছে, এখন পর্যন্ত এক জন যাত্রী ও এক জন ফ্লাইট সহকারীকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে এবং উদ্ধার তৎপরতা চলছে।

বিমানবন্দরের একজন কর্মকর্তা বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে জানিয়েছেন, উদ্ধারকর্মীরা বিমানটির পেছনের দিক থেকে যাত্রীদের উদ্ধারের চেষ্টা করছিলেন।

বিমানবন্দরটি ২০০৭ সালে চালু করা হয়েছিলো। এখান থেকে এশিয়ার বিভিন্ন গন্তব্যে বিমান চলাচল করে। বিমানটি কেন দুর্ঘটনায় পড়লো বা কেন রানওয়ে থেকে ছিটকে গেলো তা এখনো জানা যায়নি। তবে পাখির কারণে ল্যান্ডিং গিয়ার অকার্যকর হয়ে এটি হতে পারে বলে ইয়োনহাপের খবরে বলা হয়েছে।

এদিকে সত্যতা যাচাই করা যায়নি এমন একটি ভিডিও ফুটেজ সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। এতে দেখা যাচ্ছে বিমানটি রানওয়ে থেকে ছিটকে পড়ছে এবং বিমানবন্দরের দেয়ালে গিয়ে আঘাত করছে। কিন্তু দেয়ালে আছড়ে পড়ার আগেই বিমানের এক অংশে আগুন ধরে যায়। আরেকটি ফুটেজে দেখা যাচ্ছে, কালো ধোঁয়ার কুন্ডলী আকাশের দিকে উঠছে।

দক্ষিণ কোরিয়ার দমকল বিভাগ এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, এই মুহুর্তে ফায়ার সার্ভিসের ৩২টি গাড়ীসহ অন্তত ৮০ জন দমকল কর্মী ঘটনাস্থলে কাজ করছে।

এয়ারলাইন জেজু এক বিবৃতিতে এই দূর্ঘটনার জন্য দুঃখ প্রকাশ করেছে।

“মুয়ান এয়ারপোর্টের দূর্ঘটনায় যারা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে তাদের সবার কাছে আমরা অবনত মস্তকে ক্ষমা প্রার্থনা করছি,” সংস্থাটির বিবৃতিতে বলা হয়েছে।

“আমরা যা যা করার দরকার সব করবো। এই দুর্ঘটনার জন্য আমরা দুঃখিত।”

এই বিমান সংস্থাটির ইতিহাসে এটিই প্রথম কোন দূর্ঘটনা। এটি দক্ষিণ কোরিয়ার সবচেয়ে বড় কিন্তু কম বাজেটের এয়ারলাইন্স।

দেশটির দমকল বিভাগের ধারণা পাখির আঘাত এবং খারাপ আবহাওয়ার কারণেই এই দূর্ঘটনা হতে পারে। তবে প্রকৃত কারণ অনুসন্ধানে তদন্ত চলছে বলে জানিয়েছেন ফায়ার সার্ভিসের প্রধান লি জিয়ং-হুন।

Link copied!