বেটা
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি শনিবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে একটি পোস্টে ভারতের যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্ককে এখনও “বেশ ইতিবাচক” বলে উল্লেখ করেছেন।
মোদি পোস্টে লিখেছেন, “আমার সম্পর্কের বিষয়ে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের আবেগ-অনুভূতি ও ইতিবাচক মূল্যায়ন আমি গভীর কৃতজ্ঞতার সঙ্গে গ্রহণ করছি এবং একইভাবে তাকে তা ফিরিয়ে দিচ্ছি।” তিনি আরও যোগ করেন, ভারত ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে একটি খুবই ইতিবাচক ও ভবিষ্যৎমুখী সর্বাত্মক বৈশ্বিক কৌশলগত অংশীদারিত্ব রয়েছে।
মোদি এই মন্তব্য করেছেন সেই সময়, যখন দুই দেশের সম্পর্ক কিছুটা টানাপোড়েনে রয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র সম্প্রতি ভারতের পণ্যের ওপর ৫০ শতাংশ পর্যন্ত শুল্ক বসিয়েছে। ওয়াশিংটন দাবি করছে, ভারতের রাশিয়ার কাছ থেকে তেল কেনার কারণে ইউক্রেনে রাশিয়ার আক্রমণে সহায়তা হচ্ছে।
তবে মোদি এবং ট্রাম্প—দুইজনেই জনতুষ্টবাদী নেতা। ট্রাম্পের প্রথম মেয়াদ থেকে দু’জনের মধ্যে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক গড়ে উঠেছে। এর আগে ট্রাম্প সাংবাদিকদের বলেন, তিনি সব সময় মোদির বন্ধু থাকবেন এবং ভারত-যুক্তরাষ্ট্রের বিশেষ সম্পর্ক অটুট রয়েছে।
মোদি সম্প্রতি সাংহাই কো-অপারেশন অর্গানাইজেশনের বৈঠকে যোগ দিতে চীনে সফর করেন। এটি সাত বছর পর তার প্রথম চীন সফর, যা দুই এশীয় শক্তির মধ্যে সম্পর্কের কিছু উষ্ণতার ইঙ্গিত দিয়েছে। তবে এই সফর ট্রাম্পকে কিছুটা বিরক্ত করেছে বলে মনে করা হচ্ছে, কারণ মোদি পাকিস্তান ও ভারতের মধ্যে শান্তি প্রতিষ্ঠার কৃতিত্ব নিতে চাইছেন।
মোদি সফরে উল্লেখ করেছেন, এটি “নোবেল পাওয়ার মতো কূটনীতি”। তবে কাশ্মীর ইস্যুতে ভারত কোনো তৃতীয় পক্ষের মধ্যস্থতা গ্রহণ করেনি, যা ট্রাম্পকে অসন্তুষ্ট করেছে।
