থাইল্যান্ডের নতুন প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হয়েছেন দেশটির রিয়েল এস্টেট মোগল হিসেবে পরিচিত স্রেথা থাভিসিন। মঙ্গলবার থাইল্যান্ডের পার্লামেন্টে ভোটাভুটিতে সংখ্যাগরিষ্ঠ আইনপ্রণেতার সমর্থন পান তিনি। এর পরই মন্ত্রিসভা গঠনের প্রক্রিয়া শুরু করেছেন বলে ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়।
নতুন প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হওয়ায় দেশটিতে নতুন জোট সরকার গঠনের পথ প্রশস্ত হওয়ার পাশাপাশি প্রায় তিন মাসের রাজনৈতিক অনিশ্চয়তা ও অচলাবস্থার অবসান ঘটেছে।
থাইল্যান্ডের সাবেক প্রধানমন্ত্রী থাকসিন সিনাওয়াত্রার রাজনৈতিক দলের বর্তমান সংস্করণ থাই ফেউ এর নেতৃত্বে গঠিত জোটের নেতা হিসেবে মঙ্গলবার স্রেথা থাভিসিন দেশটির ৩০তম প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হলেন। তিনি এমন সময়ই নির্বাচিত হলেন যার মাত্র কয়েক ঘণ্টা আগে থাকসিন সিনাওয়াত্রা ১৫ বছর পর দেশে ফিরে সর্বোচ্চ আদালতের নির্দেশে কারাগারে গিয়েছেন।
গত নির্বাচনে স্রেথা থাভিসিনের রাজনৈতিক দল ফেউ থাই পার্টি গত মে মাসে অনুষ্ঠিত জাতীয় নির্বাচনে দ্বিতীয় অবস্থানে ছিল। কিন্তু তারপরও থাইল্যান্ডের পার্লামেন্টের উভয়কক্ষে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়ে দেশটির ৩০তম প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হয়েছেন তিনি
দেশটির পার্লামেন্ট টেলিভিশনে সরাসরি সম্প্রচারিত ভোটের গণনা অনুযায়ী, পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষের সদস্য এবং সর্বশেষ থাই জান্তার নিয়োগকৃত উচ্চকক্ষ সিনেটরদের সংখ্যাগরিষ্ঠতার জন্য প্রয়োজনীয় ৩৭৫ ভোটের সীমা পেরিয়ে গেছেন স্রেথা।
প্রায় এক ডজন দলকে নিয়ে ফেউ থাইয়ের গড়া জোট পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষের ৫০০ আইনপ্রণেতার মধ্যে ৩১৪ জনের সমর্থন অর্জন করেন। তবে সাবেক বিরোধী শক্তি ও শত্রুদের জোটে নেওয়া নিয়ে ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়েছে ফেউ থাই পার্টি। এমনকি এই জোটের মধ্যে ফেউ থাইয়ের সাবেক প্রধানমন্ত্রীকে ক্ষমতাচ্যুত করা সেনা-সমর্থিত রাজনৈতিক দলও রয়েছে।