৮ ফেব্রুয়ারি পাকিস্তানের জাতীয় নির্বাচনে কোনো দল একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা না পাওয়ায় সরকার গঠনে জোট গঠন ছাড়া আর কোন উপায় ছিলোনা। তাই নির্বাচনের পর থেকেই দেশটিতে অনিশ্চয়তা বিরাজ করছিলো।
রাজধানী ইসলামাবাদে মঙ্গলবার (২০ ফেব্রুয়ারি) রাতে এক সংবাদ সম্মেলনে পিপিপির চেয়ারম্যান বিলাওয়াল ভুট্টো জারদারি জানান, ‘জাতির সর্বোত্তম স্বার্থে’ পিপিপি ও পিএমএল-এন আবার জোট সরকার গঠন করতে যাচ্ছে।
তিনি জানান, নতুন এ জোট সরকারের প্রধানমন্ত্রী প্রার্থী হবেন পিএমএল-এন এর শাহবাজ শরিফ এবং তার বাবা আসিফ আলি জারদারি জোটের
পক্ষ থেকে দেশের প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী হবেন।
এতেই নিশ্চিত পাকিস্তানের পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী হচ্ছেন শাহবাজ, এবং জারদারি প্রেসিডেন্ট সংবাদ সম্মেলনে বিলওয়ালের পাশেই বসে ছিলেন আলি জারিদারি ও শাহবাজ শরিফ।
পিএমএল-এন এর নেতা, পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফের ছোটভাই শাহবাজ জানান, “পার্লামেন্টে তাদের দুই দলের সরকার গঠনের মতো সংখ্যাগরিষ্ঠতা আছে আর কয়েকটি ছোট দলও তাদের সমর্থন দেবে”
নির্বাচনে পাকিস্তানের জাতীয় পরিষদে ৭৯টি আসন পাওয়া পিএমএল-এন বৃহত্তম দল হয়েছে আর ৫৪ আসন পাওয়া পিপিপি দ্বিতীয় স্থানে আছে। তাদের জোটে আরও চারটি ছোট দল যোগ দিয়েছে বলে বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে।
এই সব দল মিলিয়ে জোটটি পাকিস্তানের ২৬৪ আসনের জাতীয় পরিষদে সহজেই সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণ করতে পারবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
এর আগে নির্বাচনের পর ১০ দিন পেরিয়ে গেলেও সরকার গঠনে দেরি হতে থাকায় উদ্বেগ দেখা যাচ্ছিলো।
বিলাওয়াল ভুট্টো জানিয়েছেন, তাদের জোট যত দ্রুত সম্ভব সরকার গঠনের উদ্যোগ নেবে।
পাকিস্তানের সংবিধান অনুযায়ী ২৯ ফেব্রুয়ারি নতুন পার্লামেন্টের অধিবেশন শুরু হওয়ার কথা রয়েছে। ওই দিনই দেশটির নতুন প্রধানমন্ত্রী বাছাইয়ের ভোট অনুষ্ঠিত হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।