জুন ৮, ২০২৫, ১১:৩৫ এএম
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প লস অ্যাঞ্জেলসে ২,০০০ ন্যাশনাল গার্ড মোতায়েনের নির্দেশ দিয়েছেন।
অবৈধ অভিবাসীদের ধরতে পরিচালিত ফেডারেল অভিযানের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ থেকে সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ায় এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
মূলত লাতিনো অধ্যুষিত প্যারামাউন্ট এলাকায় টানা দ্বিতীয় দিনের মতো বিক্ষোভ চলাকালে টিয়ার গ্যাস ও ফ্ল্যাশ ব্যাং ব্যবহারের মাধ্যমে জনতাকে ছত্রভঙ্গ করে দেয় ইমিগ্রেশন অ্যান্ড কাস্টমস এনফোর্সমেন্ট (আইসিই) এজেন্টরা।
সপ্তাহজুড়ে অভিযানে ১০০-এর বেশি মানুষকে আটক করা হয়েছে, শুধু শুক্রবারেই গ্রেফতার হয় ৪৪ জন।
ট্রাম্প প্রশাসনের সীমান্ত প্রধান টম হোম্যান দাবি করেছেন, “আমরা লস অ্যাঞ্জেলসকে আরও নিরাপদ করছি।” তিনি সহিংসতা ও ভাংচুরের বিরুদ্ধে ‘শূন্য সহনশীলতা’ নীতির কথা বলেন।
হোয়াইট হাউস অভিযোগ করেছে, ক্যালিফোর্নিয়ার ডেমোক্রেট নেতারা নাগরিকদের নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ হওয়ায় এ পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
প্রতিরক্ষা সচিব পিট হেগসেথ জানান, যদি সহিংসতা অব্যাহত থাকে, তাহলে ক্যাম্প পেন্ডেলটনের সক্রিয় ডিউটির মেরিন সেনাদেরও মোতায়েন করা হবে।
এদিকে, ক্যালিফোর্নিয়ার গভর্নর গ্যাভিন নিউসাম এই অভিযানে ক্ষোভ প্রকাশ করে একে “নির্দয় ও দায়িত্বহীন” বলে অভিহিত করেছেন। তিনি সতর্ক করে বলেন, সেনা মোতায়েন উত্তেজনা আরও বাড়াবে।
লস অ্যাঞ্জেলসের মেয়র ক্যারেন ব্যাস আইসিই-র অভিযানে শহরে “ভয়ের পরিবেশ” সৃষ্টি হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন, যা ফেডারেল সংস্থাগুলোর মতে, তাদের সদস্যদের ঝুঁকির মধ্যে ফেলছে।
যদিও শনিবার শহরজুড়ে কিছুটা উত্তেজনা বিরাজ করলেও লস অ্যাঞ্জেলস পুলিশ জানিয়েছে, দিনের বিক্ষোভ ছিল মূলত শান্তিপূর্ণ।