পৃথিবীতে এমন অনেক মানুষ আছেন যারা দু-বেলা খাবার খেতে পান না। তেমনি আবার পৃথিবীর নানা প্রান্তে খাবারের অপচয়ও কম হয় না। শুনতে অবাক লাগলেও সৌদি আরবে শতকরা ৩৩ শতাংশ খাবারই নষ্ট বা অপচয় হয়।
বছরের হিসেব অনুযায়ী যেটার পরিমাণ হয় ৪০ লাখ টন। আর এর আনুমানিক মূল্য ৪ হাজার কোটি সৌদি রিয়াল বা ১ লাখ ১৭ হাজার কোটি টাকার বেশি। সেখানকার ন্যাশনাল প্রোগ্রাম টু রিডিউস ফুড লস অ্যান্ড ওয়াস্টের এক সমীক্ষায় এ তথ্য পাওয়া গেছে বলে নিশ্চিত করেছে দুবাইভিত্তিক সংবাদমাধ্যম গালফ নিউজ।
ইন্টারন্যাশনাল ডে অব অ্যাওয়ারনেস অব ফুড লস অ্যান্ড ওয়াস্টের (আইডিএএফএলডব্লিউ) কথা বিবেচনায় রেখে এই পরিসংখ্যান প্রকাশ করা হয়েছে। প্রতি বছর ২৯ সেপ্টেম্বর দিনটি পালন করা হয়।
এ পরিস্থিতিতে জাতীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে জেনারেল ফুড সিকিউরিটি অথোরিটি (জিএফএসএ) গত শুক্রবার একটি ব্যাপক সচেতনতার প্রচার শুরু করেছে।
খাদ্য নিরাপত্তার গুরুত্ব তুলে ধরতে, খাওয়া-দাওয়ার ব্যাপারে দায়িত্বশীল হওয়ায় উৎসাহিত করতে এবং খাদ্যের অপচয় কমানোর লক্ষ্যে কার্যকর সমাধান বাস্তবায়নে অনুপ্রাণিত করাই এর উদ্দেশ্য।
জিএফএসএর গভর্নর আহমেদ আল ফারিস প্রাকৃতিক সম্পদের স্থায়িত্ব বাড়ানো এবং ২০৩০ সাল নাগাদ খাবারের ক্ষতি ও নষ্টের হার বর্তমান হারের ১০ শতাংশে নামিয়ে আনার বিষয়ে সৌদি আরবের প্রতিশ্রুতির বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
আল ফারিস দায়িত্বশীল ভোক্তা আচরণের গুরুত্ব সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে এই প্রচারাভিযান চালুর ঘোষণা দেন। তিনি মনে করেন, কোনো একটি সমাজে বসবাস করা বিভিন্ন ব্যক্তির আচরণকে ইতিবাচকভাবে প্রভাবিত করতে সচেতনতা বৃদ্ধি একটি শক্তিশালী উপায়।
সচেতনতা বৃদ্ধির এই প্রচারাভিযান সরকারি সংস্থা, বেসরকারি খাত এবং বিভিন্ন সমিতিসহ সমাজের বিভিন্ন অংশে উল্লেখযোগ্য সম্পৃক্ততা অর্জন করতে পেরেছে বলে মনে করেন তিনি।
আর মানুষের এ প্রতিক্রিয়া লক্ষ্য অর্জনের জন্য একটি সম্মিলিত অঙ্গীকারের প্রতিফলন ঘটাচ্ছে। অবশ্য সমীক্ষার এ ফলাফল জাতিসংঘের প্রতিবেদনের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ। জাতিসংঘের দেওয়া তথ্য বলছে, বিশ্বব্যাপী খাদ্য অপচয়ের পরিমাণ ১৩০ কোটি টন। যা বিশ্বব্যাপী উৎপাদিত খাদ্যের এক-তৃতীয়াংশ।