ইন্দোনেশিয়া ও পূর্ব তিমুরে বন্যা ও ভূমিধসে নিহত বেড়ে ৯৭

দ্য রিপোর্ট ডেস্ক

এপ্রিল ৫, ২০২১, ১২:২৯ পিএম

ইন্দোনেশিয়া ও পূর্ব তিমুরে  বন্যা ও ভূমিধসে  নিহত বেড়ে ৯৭

ইন্দোনেশিয়া ও পূর্ব তিমুরে প্রবল বৃষ্টি, বন্যা ও ভূমিধসে সোমবার (৫ এপ্রিল) পর্যন্ত ৯৭ জন নিহত হয়েছে। এছাড়া নিখোঁজ রয়েছে আরও অনেকে। জাভা সাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে এ দুর্যোগ দেখা দিয়েছে বলে জানিয়েছে ইন্দোনেশিয়ার আবহাওয়া অধিদপ্তর।

ইন্দোনেশিয়ার পূর্বাঞ্চলীয় দ্বীপ ফ্লোরেসে শনিবার(৩ এপ্রিল) মধ্যরাতের পর থেকে শুরু বৃষ্টি, বন্যা ও ভূমিধসের কবলে পড়ে। রবিবার দেশটির দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সংস্থা বিএনপিবির মুখপাত্র রাদিত্য জাতি রয়টার্সকে এ তথ্য জানান।

উদ্ধার কার্যক্রম এখনও চলছে এবং মৃতের সংখ্যা বাড়তে পারে বলে জানিয়েছেন রাদিত্য জাতি। চারটি উপজেলা এবং সাতটি গ্রাম ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলেও জানান তিনি।

কয়েক ঘণ্টার বৃষ্টিতে দেশটির পূর্বাঞ্চলে ১০ হাজারের বেশি বাড়িঘর বন্যার পানিতে তলিয়ে যায়। গৃহহীন হয়ে পড়ে কয়েক লাখ বাসিন্দা।
এদিকে ভারি বৃষ্টিপাতে তলিয়ে গেছে দেশটির প্রেসিডেন্টের বাসবভন।


বিএনপিবি মুখপাত্র রাদিত্য জাতি বলেন, ‘মাঠ পর্যায়ে আমাদের কর্মীরা ৪১ জনের মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করেছেন। এ ছাড়া ২৭ জন নিখোঁজ রয়েছেন এবং ৯ জন আহত হয়েছেন।’

 

এদিকে, ৬০ জনের মৃত্যুর কথা জানিয়েছে পূর্ব তিমুর কর্তৃপক্ষ। এদের ৫৫ জনই লেমানেল গ্রামের, কারণ সেখানে ভূমিধস ও বন্যার কবলে পড়েছে। এ ছাড়া রাজধানী দিলিতে আরও ১১ জনের মৃত্যু হয়েছে। তবে ইন্দোনেশিয়ার সরকার এসব তথ্য নিশ্চিত করেনি।

তিমুর বেসামরিক সুরক্ষা কর্তৃপক্ষের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জোয়াকিম জোস গুসমাও ডোস রেইস বলেন, প্রাকৃতিক এই দুর্যোগ কবলিত এলাকাগুলোতে উদ্ধার অভিযান চলছে। দ্বীপ রাষ্ট্রটির বহু মানুষকে ঘরবাড়ি থেকে নিরাপদ আশ্রয়ে নেওয়া হয়েছে।

ইন্দোনেশিয়ায় আগামী এক সপ্তাহ এমন বৈরী আবহাওয়া অব্যাহত থাকতে পারে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে দেশটির আবহওয়া বিভাগ।

নভেম্বর থেকে মার্চ পর্যন্ত বর্ষার মৌসুমে ইন্দোনেশিয়াসহ আশপাশের দ্বীপ অঞ্চলগুলোতে প্রতিবছরই বন্যা ও ভূমিধসের ঘটনা ঘটে এবং বহু মানুষের প্রাণহানি ঘটে।

 

Link copied!