কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূল কংগ্রেসে নেতাকর্মীরা

দ্য রিপোর্ট ডেস্ক

নভেম্বর ২৫, ২০২১, ১২:০৪ এএম

কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূল কংগ্রেসে নেতাকর্মীরা

কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দিয়েছেন বিহারের সাবেক সাংসদ কীর্তি আজাদ। মঙ্গলবার (২৪ নভেম্বর) তিনি আনুষ্ঠানিকভাবে কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দেন।

কীর্তি আজাদ বিহারের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী ভগবত ঝাঁ আজাদের ছেলে। তৃণমূল নেত্রী ও পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি তাকে দলে বরণ করে নিয়েছেন।  

তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দেওয়ার প্রতিক্রিয়ায় কীর্তি আজাদ বলেন, “মমতাদির মতো নেত্রীই দেশকে বাঁচাতে পারেন।” 

কীর্তি আজাদের সঙ্গে তৃণমূল কংগ্রেনে যোগ দিয়েছেন বিহারে বিজেপির জোটসঙ্গী সংযুক্ত জনতা দলের নেতা পবন ভার্মাও।

সাবেক কূটনীতিক পবনের মতে, ভারতীয় রাজনীতিতে মমতাই এখন সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ নেত্রী। এসময় পবন ২০২৪ সালের নির্বাচনে বিজেপিকে হারাতে তৃণমূলের হাত শক্তিশালী করতে বিরোধীদের উদ্দেশে আহ্বান জানান।

এদিকে, সর্বভারতীয় মহিলা কংগ্রেসের সাবেক সভানেত্রী ও বর্তমানে তৃণমূল সাংসদ সুস্মিতা দেব মনে করেন, বিজেপিকে হারানোর ক্ষমতা কংগ্রেসের বর্তমান নেতৃত্বের নেই। তাই, রাহুল গান্ধীর প্রতি অনাস্থা থেকেই কংগ্রেস নেতারা বিজেপিকে হারাতে তৃণমূলে যোগ দিচ্ছেন।

গান্ধী পরিবারের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে সুস্মিতা বলেন, ‘সব রাজ্যেই কংগ্রেস ভাঙছে। নেতারা বিজেপিতে যাওয়ার বদলে তৃণমূলে যোগ দিলে দেশেরই মঙ্গল।’ 

তবে কংগ্রেসে ভাঙন ধরিয়ে মমতা বিজেপির সুবিধা করে দিচ্ছে—এমন অভিযোগ করতে শুরু করেছেন পশ্চিমবঙ্গ প্রদেশ কংগ্রেসের সভাপতি অধীররঞ্জন মজুমদার। কিন্তু তার এই অভিযোগ মানতে নারাজ তৃণমূল। 

তৃণমূল সাংসদ ডা. শান্তনু সেনের মতে, সাবেক রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখার্জির ছেলে অভিজিত মুখার্জি, গোয়ার সাবেক মুখ্যমন্ত্রী লুইজিনহো ফেলেইরিও থেকে শুরু করে একঝাঁক কংগ্রেস নেতা বিজেপিকে হারানোর জন্যই তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন। কারণ দুই-দুবার সুযোগ পেয়েও রাহুল গান্ধী নরেন্দ্র মোদিকে পরাস্ত করতে ব্যর্থ হয়েছেন। সেই সঙ্গে তিনি স্মরণ করিয়ে দেন, ভারতীয় রাজনীতিতে একমাত্র তৃণমূলই বিজেপিকে পাল্টা ভাঙতে সক্ষম হয়েছে। পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভা নির্বাচনের পর থেকে বিজেপির বহু নেতা ও জনপ্রতিনিধি যোগ দিয়েছেন তৃণমূলে। 

বিজেপির সর্বভারতীয় সহসভাপতি ও সাবেক রেলমন্ত্রী মুকুল রায়, সাবেক প্রতিমন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়, রাজ্যের সাবেক মন্ত্রী রাজীব ব্যানার্জি থেকে শুরু করে বহু নেতা তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন। সাবেক ক্রিকেট তারকা কীর্তি আজাদ অবশ্য বিজেপিতেই ছিলেন। পরে ২০১৯ সালের লোকসভা ভোটের আগে কংগ্রেসে যোগ দেন। সেখান থেকে তিনি এবার যোগ দিলেন তৃণমূলে। 

কংগ্রেস অবশ্য দলের ভাঙন নিয়ে মোটেই চিন্তিত নয়। অধীরের মতে, নীতি ও আদর্শের ওপরই টিকে থাকবে কংগ্রেস। এদিকে দলকে শক্তিশালী করতে জাতীয় সংসদের আসন্ন শীতকালীন অধিবেশনের আগে দিল্লিতে বড় ধরনের সভার আয়োজন করছে কংগ্রেস। সেই সভার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে দলের সাধারণ সম্পাদক প্রিয়াঙ্কা গান্ধী ভদরাকে। দিল্লিতে জোর গুঞ্জন—প্রয়াত প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর পুত্রবধূ মানেকা গান্ধী ও তাঁর ছেলে বিজেপি সাংসদ বরুণ গান্ধী কংগ্রেসে ফিরতে পারেন। উত্তর প্রদেশ নির্বাচনের আগে প্রিয়াঙ্কার তরফে এটাও একটা বড় চমক হতে পারে গান্ধী পরিবারের।

Link copied!