কৃষ্ণসাগর উপকূলের বন্দরে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা, ৬০ হাজার টন খাদ্যশস্য ধ্বংস

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

জুলাই ২০, ২০২৩, ০৬:২৬ পিএম

কৃষ্ণসাগর উপকূলের বন্দরে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা, ৬০ হাজার টন খাদ্যশস্য ধ্বংস

সংগৃহীত ছবি

ইউক্রেনের কৃষ্ণসাগর উপকূলের বন্দরগুলোতে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়ে ৬০ হাজার টন খাদ্যশস্য ধ্বংস করে দিয়েছে রাশিয়া।

বুধবার ইউক্রেনের কৃষিমন্ত্রী মাইকোলা সোল্সকির বরাতে রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে এই তথ্য প্রকাশ করা হয়। 

তিনি বলেন, রপ্তানি পরিকাঠামোর অনেকাংশই অচল হয়ে পড়েছে।

দেশটির কৃষিমন্ত্রী জানান, ৬০ হাজার টন শস্য ধ্বংস হয়েছে, যেগুলো একটি বড় জাহাজে তুলে নিরাপদ করিডর দিয়ে নিয়ে যাওয়ার কথা ছিল।

জাতিসংঘ এবং তুরস্কের মধ্যস্থতায় কৃষ্ণসাগরে ইউক্রেনের বন্দরগুলো দিয়ে দেশটির শস্য রপ্তানির ঐতিহাসিক চুক্তি থেকে গত সোমবার রাশিয়া সরে আসে।

এর পর কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই মঙ্গলবার সকালে ইউক্রেনের দক্ষিণাঞ্চলীয় বন্দরনগরী ওদেসা এবং মাইকোলাইভে হামলা চালায় রাশিয়া।

এর পরও বুধবার পর্যন্ত রাতভর ওদেসা এবং করনোমোর্স্কে কৃষ্ণসাগর উপকূলের বন্দর ও শস্য টারমিনালগুলোকে নিশানা করে রাশিয়ার হামলা চলেছে বলে জানিয়েছে বিবিসি।

ওদেসার সামরিক মুখপাত্র শেরহি ব্রাতচুক বলেন, সত্যিই প্রকাণ্ড হামলা হয়েছে।

ফ্রান্স ও জার্মানি রাশিয়ার এই হামলার নিন্দা জানিয়েছে। জার্মান পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ওদেসায় বোমা ফেলে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বিশ্বের ইউক্রেনের শস্য পাওয়ার আশা ছিনিয়ে নিচ্ছেন এবং গরিবদের পেটে লাথি মারছেন।

গত বছর ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসন শুরু হওয়ার পর দেশটি থেকে শস্য রপ্তানি সম্পূর্ণ বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। কারণ রাশিয়া প্রথমেই কৃষ্ণসাগরে ইউক্রেনের বন্দরগুলোর দখল নিয়ে নেয়।

বিশ্বের অন্যতম শীর্ষ শস্য রপ্তানিকারক দেশ ইউক্রেন থেকে পণ্যের জোগান বন্ধ হয়ে গেলে তার সরাসরি প্রভাব পড়ে বিশ্ববাজারে।

লাফিয়ে লাফিয়ে শস্যের দাম কয়েক গুণ বেড়ে যায়। সারা বিশ্বে দেখা দেয় খাদ্য সংকট। অন্যদিকে ইউক্রেনের গুদামগুলোতে টন টন শস্য পড়ে নষ্ট হতে থাকে।

পরিস্থিতি সামাল দিতে তুরস্ক ও জাতিসংঘের মধ্যস্থতায় ইউক্রেন থেকে শস্য রপ্তানির বিষয়ে তিন পক্ষের মধ্যে গত বছর একটি চুক্তি হয়।

গত সোমবার ওই চুক্তির মেয়াদ শেষ হয়। এর পর নতুন করে আর মেয়াদ বাড়ানো হবে না বলে স্পষ্ট করে জানিয়ে দিয়েছে রাশিয়া।

Link copied!