বেটা
ভারতের বায়োটেক কোম্পানির তৈরি করোনাভাইরাস প্রতিরোধী টিকা কোভ্যাক্সিন অবশেষে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) অনুমোদন পেয়েছে। ফলে এখন থেকে বিদেশযাত্রায় অনেকটা সুবিধা পাবেন এই টিকাগ্রহীতারা।
বুধবার (৩ নভেম্বর) কোভ্যাক্সিনকে জরুরি ব্যবহারযোগ্য টিকা হিসেবে অনুমোদন দেয় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। ফলে অগণিত শিক্ষার্থীসহ এই টিকা নেওয়া কোটি কোটি ভারতীয় এবার বিভিন্ন দেশে প্রবেশের অনুমতি পেতে পারেন।
জরুরি ব্যবহারের অনুমোদন পেতে দীর্ঘদিন অপেক্ষা করতে হয়েছে কোভ্যাক্সিনকে। নিজেদের তৈরি এই টিকার অনুমোদনের জন্য গত এপ্রিলে আবেদন করেছিল ভারত বায়োটক। গত জুলাইয়ে পাঠানো হয় টিকার সুরক্ষা, কার্যকারিতা, উৎপাদনস্থল পরীক্ষাসহ প্রয়োজনীয় তথ্যগুলো।
কিন্তু এরপরও ডব্লিউএইচও’র অনুমোদন না মেলায় সন্দিহান হয়ে পড়েন টিকাগ্রহীতারা, তাদের টিকা আদৌ বৈশ্বিক স্বীকৃতি পাবে তো!
এ অবস্থায় গত সপ্তাহে ভারত বায়োটেকের কাছে কোভ্যাক্সিনের উপকারিতা ও ঝুঁকি চূড়ান্ত মূল্যায়নের জন্য আরও কিছু তথ্যপ্রমাণ চায় টেকনিক্যাল অ্যাডভাইসরি গ্রুপ। স্বাধীন এই প্যানেলটি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার কাছে অনুমোদনের জন্য প্রয়োজনীয় সুপারিশ করে থাকে। তাদের দেওয়া তথ্য ও সুপারিশের ভিত্তিতে অবশেষে কোভ্যাক্সিনকে অনুমোদন দিলো বৈশ্বিক এই সংস্থাটি।
অবশ্য ডব্লিউএইচও’র অনুমোদনের আগেই অস্ট্রেলিয়া, এস্তোনিয়াসহ মোট ৭টি দেশ কোভ্যাক্সিনের ২টি ডোজ সম্পূর্ণ করা মানুষজনকে তাদের দেশে ঢোকার ক্ষেত্রে ছাড়পত্র দিয়েছিলো।
ভারতে বিশ্বের বৃহত্তম টিকাদান কর্মসূচিতে ব্যাপকভাবে কোভ্যাক্সিন ব্যবহার করা হয়েছে। নির্মাতাদের দাবি, এই টিকা উপসর্গযুক্ত কোভিড-১৯ মোকাবিলায় ৭৭ দশমিক ৮ শতাংশ কার্যকর, এমনকি ভয়ানক ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের বিরুদ্ধেও এটি ৬৫ দশমিক ২ শতাংশ সুরক্ষা দিয়ে থাকে।
-20241121105543.jpg)
-20241027115010.png)
-20241114092417.jpg)
